যুগান্তরের জন্মদিনে যে স্মৃতি মনে পড়ল হাবিবুল বাশারের
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
দীর্ঘ ২৫ বছরের পথচলা শেষে নতুন অধ্যায়ে পা রাখল যুগান্তর। অসংখ্য পাঠকের ভালোবাসায় ও রথী-মহারথীদের প্রশংসায় বরাবরই সমৃদ্ধ এই পত্রিকা। রজতজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা যুগান্তরকে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা, যা এই আনন্দের মুহূর্তকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।
সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন খানিকটা আলাদা করেই মনে রেখেছেন যুগান্তরকে। তার এক বিশেষ স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে পত্রিকাটির নাম। তিনি বলেন, ‘আমি ভালো সংগ্রাহক নই। একই সঙ্গে ডাকটিকিট, নিজের প্রকাশিত খবর সংগ্রহ করে রাখার অভ্যাস আমার নেই। আমি কুষ্টিয়া জেলার ছেলে। এবার কুষ্টিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার একটি বাঁধানো ছবি। ছবিটি যুগান্তরে ছাপা হয়েছিল। লেমিনেটিং করে বাঁধানো। দেখে খুবই খুশি হয়েছিলাম যে, কিছু একটা আছে আমার কাছে। যুগান্তরের মতো বড় পত্রিকা হওয়ায় আনন্দটা আরও বেশি হয়েছে।’
নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের কথাও মনে পড়ে গেল তার। তিনি বলেন, ‘যুগান্তর রমরমা ছিল আমাদের ক্যারিয়ারের সময়। আমরা বাড়তি মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। খেলার খবর সব সময় গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয় এই পত্রিকায়। ২৫ বছর দীর্ঘ সময়। এতদিন ধরে পত্রিকাটি নিজেদের মান ধরে রেখেছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার।’
তবে ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইনকেও বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখলেন তিনি। তার চাওয়া, যুগান্তরের বস্তুনিষ্ঠতার ছাপ থাকবে এর অনলাইন সংস্করণেও। তিনি বলেন, ‘এখন অনলাইনের যুগ। সবাই টাটকা খবর পেতে চায়। আমাদের সময় সকালবেলায় খবরের কাগজ হাতে পাওয়া মানে ছিল অন্যরকম অনুভূতি। এখন সেই খবর হয়তো আগেই অনলাইনে পেয়ে যান পাঠকরা। আমি চাই যুগান্তর বরাবরের মতো বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশ অব্যাহত রাখুক। যুগান্তরের অনলাইন সংস্কারণেও বস্তুনিষ্ঠ খবর যেন দেখতে পাই।’