‘সম্মান নিয়ে খেললে ছাড় দেব না’, মিঠুনের কড়া বার্তা
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
চিটাগং কিংস অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন
চলতি বিপিএলে দারুণ ফর্মে আছে চিটাগং কিংস। এরই মধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। লিগ পর্বে এখনো এক ম্যাচ হাতে আছে দলটির, তাই সুযোগ থাকছে পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুইয়ে উঠে আসার। তবে এই দারুণ সময়ে দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ঠিক স্বস্তিতে নেই।
দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ফিক্সিং সন্দেহের তীর ছোঁড়া হয়েছে চিটাগং অধিনায়কের দিকে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন মিঠুন।
চিটাগং কিংসের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় মিঠুন বলেন, ‘ম্যাচ জেতার পর দিনশেষে কিন্তু আমার খুশি থাকার কথা। আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাই, আমি শুধু ইউটিউব ফলো করি। এটাই একমাত্র অ্যাপস যেটাতে আমি টুকটাক খবর দেখি। বাসে ওঠার পরে আমি নিউজটা দেখি, আপনি যদি প্রতিক্রিয়া জানতে চান আমার কিন্তু একবারও মন খারাপ হয়নি বা আমার ভেতরে কোনো শঙ্কা কাজ করেনি। কারণ আমি জানি আমি কী। আমার ভেতরে কী আছে আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।’
‘বিষয় হচ্ছে আমি জানি আমি কী, আমার পরিবার, বন্ধুরা জানে কিন্তু দুনিয়া জানে না আমি কী। আপনার একটা নিউজের কারণে কিন্তু আমার সম্মানহানি হচ্ছে। আমার যে ১৫ বছরের সম্মান, সেই সম্মানটা নষ্ট হচ্ছে। আপনি যদি একটা ভিউয়ের জন্যে নিউজ করেন, আপনি হয়ত ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন কিন্তু এটা আমার কাছে ৫০ কোটি টাকার থেকেও বেশি’-যোগ করেন চিটাগং কিংস অধিনায়ক।
এরপরই হুঙ্কার ছুঁড়ে দেন মিঠুন, ‘আমার মানহানি মানে... কারণ এই বিষয়টাতে আমি কখনও ছাড় দিই না। আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে এটা নিয়ে আমি কোন ছাড় দিই না।’
অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকসু) থেকে তার সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়নি জানিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আকসু থেকে তো আমার কাছে কোনো প্রশ্ন করেনি। আমার নামে যদি কোনো অভিযোগ থাকে আকসু তো প্রথমে আসবে আমার কাছে। সে এসে আমাকে বলবে আপনার নামে এই ধরনের অভিযোগ আছে। এই ধরনের কোনো বিষয় নিয়ে তো আসেনি।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে বিপিএলের বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারের দিকে ফিক্সিং সন্দেহের আঙুল তোলা হয়েছে। তারা হলেন–এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক, নাজমুল অপু, থিসারা পেরেরা, শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন সিনিয়র, আলাউদ্দীন বাবু, শুভম রানজানে (যুক্তরাষ্ট্র), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতসহ আরও কয়েকজন ভিনদেশি ক্রিকেটার। যদিও এই অভিযোগের বিষয়ে এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।