তিনি বিরাট কোহলি বলে কথা! রঞ্জিতে ফিরছেন ১২ বছর পর। তার খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন ধারণক্ষমতারও বেশি দর্শক। তবে কোহলি তাদের প্রতিদানটা দিতে পারেননি। টিকলেন মোটে ১৫ বল। তাকে দেখতে হাজির দর্শকরা যে হতাশ হয়েছেন, তা আর বলতে!
দিল্লি টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল তাই ব্যাটিংয়ের দেখা মেলেনি কোহলির। তবে মাঠে ফিল্ডিংয়ের সময়ই সমর্থকদের ভালোবাসা পান তিনি। তাদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেন কোহলি।
তিনি ব্যাটিংয়ে নামেন আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের খেলায়। দিল্লির অধিনায়ক যশ ধুল ২৪তম ওভারে আউট হলে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন কোহলি। স্টেডিয়ামজুড়ে তখন তুমুল উল্লাস।
ব্যাট হাতে কোহলির সময়টা ভালো কাটছে না। সে কারণেই মূলত তিনি ফিরেছেন রঞ্জিতে। আজ তিনি শুরুটাও করেছিলেন বেশ সতর্কভাবে। চতুর্থ ডেলিভারিতে কাভার অঞ্চলে বল ঠেলে প্রথম রানটা পান তিনি।
রেলওয়ের বোলারদের সুইং ও সিমের বিপরীতে তাকে রীতিমতো সংগ্রামই করতে হয়েছে। ২৮তম ওভারে একবার দারুণ স্ট্রেট ড্রাইভে চার মারেন তিনি। তবে সেখানেও টাইমিংয়ের দেখা মেলেনি, স্রেফ বাহুর জোরে বাউন্ডারির দেখা পেয়ে যান তিনি। যা তার বড় সময় ধরে চলতে থাকা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিটাকে সামনে নিয়ে আসে।
এছাড়া কোহলি ভুগেছেন অফ-স্টাম্পের বাইরের বলেও। চতুর্থ, পঞ্চম স্টাম্প লাইনের ডেলিভারি খেলতে গিয়ে বেশ কয়েকবার অনিশ্চয়তায় ভুগতে দেখা যায় তাকে। নিকট অতীতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একইভাবে সংগ্রাম করতে হয়েছিল তাকে।
তবে টিকে গেলে যে কোহলি সেসব পেছনে ফেলতে পারতেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারও। সেটা হতে পারেনি শেষমেশ। ১৫তম বলে হর্ষ সাংওয়ানের ইনসুইং ডেলিভারিতে ব্যাট-প্যাডের মাঝের ফাঁক গলে তার অফ-স্টাম্প উড়ে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে পুরো স্টেডিয়ামে নেমে আসে পিনপতন নিরবতা। মাত্র ১৫ বল খেলে ৬ রান করেই ইনিংস শেষ করতে হয় কোহলিকে।
সাবেক ভারতীয় অধিনায়কের সুযোগ অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি। এই ম্যাচে দিল্লির আরেকটি ইনিংস আছে। সে ইনিংসে ভালো কিছু করতে নিশ্চয়ই মুখিয়ে থাকবেন কোহলি।