তার পরিচয়টা অলরাউন্ডার। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ যেন সে পরিচয়টাকে একেবারে যথার্থ রূপ দিচ্ছেন। তিনি রীতিমতো ‘হরফন মৌলা’।
আরেকটু পরিষ্কার করে বলা যাক। বল হাতে পারফর্ম করছেন, দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডারও তিনি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে যেন সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি সেখানে সত্যিকারের ‘অলরাউন্ডার’। যখন যেখানে দরকার মিরাজ সেখানেই ‘ফিট’।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে যখন উপরে ব্যাটিং করেছেন মিরাজ। এর আগেও তিনি খেলেছেন আরও অনেকগুলো পজিশনে। ব্যাটে-বলে যেন দলের ত্রাতা এই ডান-হাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার।
বিপিএলেও দৃশ্যটা বদলাচ্ছে না। খুলনার টপঅর্ডার যখন খারাপ করছে, তখন ওপেন করছেন অধিনায়ক।
এর আগে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ ব্যাট হাতে নেমেছেন ১ থেকে ৯ নম্বরের সবকটি পজিশনে। তবে সবচেয়ে বেশি খেলতে হয়েছে ৮ নম্বরে। এছাড়া ৭ আর ৯ নম্বরেও ক্যারিয়ারের অনেক ম্যাচে মাঠে নেমেছেন।
তবে এবার তিনি থিতু হতে চান। একটা নির্দিষ্ট পজিশনে খেলতে চান। মিরাজ যুগান্তরকে জানান, প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন ও বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে নিজের ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মিরাজ বলেন, ‘দলের প্রয়োজনে আমি খেলি। দল খারাপ করলে পাশে থাকি। টপঅর্ডার ব্যাটার হতে হলে নিয়মিত একই জায়গায় খেলতে হয়।’
বিপিএলে ১০ ম্যাচে তার রান ২৫৮। ৭০ রানের একটি ইনিংসও রয়েছে। এখানেও তিনি একেক ম্যাচে নেমেছেন একেক জায়গায়। তবে তিনি জানান, এখানেও তিনি খেলতে চেয়েছিলেন একটা নির্দিষ্ট পজিশনে। তিনি বলেন, ‘বিপিএলেও আমি চার নম্বরে থিতু হতে চেয়েছিলাম। একই পজিশনে ১০-১২টা ম্যাচ খেললে ওই জায়গা সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়।’
বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের মূল ভরসার নাম মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই আছেন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। শিগগিরই হয়তো তারা বিদায় বলবেন। ‘হরফন মৌলা’ বলেই হয়তো, সেখানে ডাক পড়তে পারে মিরাজের।
তবে তার আকুতি শুনে সেখানে তাকে স্থায়ীভাবে জায়গা করে দেবে কি না টিম ম্যানেজমেন্ট, তা সময়ই বলে দেবে।