বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ মানে মাঠের ক্রিকেটের চেয়ে এর বাইরের সব কাণ্ড আলোচনায় চলে আসা। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এবারের সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয়, দলগুলোর পারিশ্রমিক না পাওয়া। দুর্বার রাজশাহী খেলোয়াড়রা প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে অনুশীলন বর্জন করে ম্যাচ ওয়াক ওভার দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তারপর পারিশ্রমিকের কিছু অংশ পরিশোধ করে খেলোয়াড়দের মাঠে ফেরায় দলটা।

তবে এরপর আলোচনায় এল চিটাগং কিংসের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক না পাওয়ার ইস্যু। বাংলাদেশি ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমনই যেমন এখন পর্যন্ত কানাকড়ি পাননি। চিটাগং কিংস কর্তৃপক্ষ তার বেতন না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। দলটির সত্ত্বাধিকারী সামির কাদের চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে’ পারভেজ ইমনের বেতন ‘আটকে’ রেখেছেন তিনি। 

পারভেজ হোসেন ইমন টাকা পাননি এখন পর্যন্ত, যে কারণে কিংসের ক্যাম্প ছেড়েও তিনি চলে গেছেন বলে জানা গেছে। ইমনের পারিশ্রমিক না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ইমনকে পেমেন্ট করিনি। এটা করিনি ব্যক্তিগত কিছু কারণে। আমার টাকা তো গাছে ধরে না, আমার কিন্তু সন্তুষ্টির দরকার আছে। আমি সন্তুষ্ট হলে টাকা দিয়ে দেব, বকেয়া রাখব না। কিছু ব্যক্তিগত এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ইস্যু আছে। আমি খেলোয়াড় এবং বোর্ডের সাথে আলোচনা করে আমার সিদ্ধান্ত নেব।’

একজন খেলোয়াড় যখন দলে নেওয়া হয়, তার পারফর্ম্যান্সের হিসেবে বোনাস মিলতে পারে, কিন্তু পারফর্ম্যান্সের সে হিসেব কখনও খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক পাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। চিটাগং কিংসের সত্ত্বাধিকারী ইমনের ‘বাজে পারফর্ম্যান্স’ এর কথা উল্লেখ করে বিষয়টাকে যুক্তিযুক্ত করার একটা চেষ্টা চালালেন। বললেন, ‘সে ত রান করতে পারেনি, দুই ম্যাচ ধরে বেঞ্চে বসে ছিলো।’ 

বিপিএলের নিয়ম, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই খেলোয়াড়দের কাছে যেতে হবে ২৫ শতাংশ অর্থ। টুর্নামেন্টের মাঝামাঝিতে আরও ৫০ শতাংশ দিয়ে দিতে হবে। বাকিটা দিতে হবে টুর্নামেন্টের শেষে। তবে বিপিএলের এই নিয়ম যে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কেউই মানছেন না, দুর্বার রাজশাহী আর চিটাগং কিংসের এই ঘটনায় তা একেবারে স্পষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।