বিপিএলের একাদশ আসরের ৩২তম ম্যাচে মুখোমুখি সিলেট স্ট্রাইকার্স ও খুলনা টাইগার্স। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনাকে ১৫৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে সিলেট।
যার জবাব দিতে নেমে রীতিমত উড়ন্ত সূচনাই পেয়েছে মেহেদি মিরাজের দল। সেরা চারে থাকার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারেই পঞ্চাশ ছুঁয়েছে দলটি, কোনো উইকেট না হারিয়েই।
গত কয়েকটা ম্যাচে ওয়ান ডাউনে নেমে মোটামুটি সফলতা পেলেও আজ রীতিমত ওপেন করতে নেমেছেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তাতে অবশ্য বেশ সফলই বলতে হবে তাকে। বিনা উইকেটে দলের পঞ্চাশ ছোঁয়ার স্কোরে তার অবদান এক ছয় ও পাঁচ চারে ১৯ বলে ৩৩। অপর প্রান্তে থাকা নাইম শেখ অপরাজিত ১৬ রানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রনি তালুকদারকে হারিয়ে ফেলে সিলেট। খুলনার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে এদিন রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন সিলেটের ওপেনার।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে হাল ধরেন আরেক ওপেনার জর্জ মুনসে ও জাকির হাসান। দুজনের ৭৪ রানের জুটি ভাঙে ৮ম ওভারে, মুনসে বিদায় নিলে। সাজঘরে ফেরার আগে ৩২ বলে ৫৮ রান করেন এই স্কটিশ ক্রিকেটার, ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সহায়তায়।
এরপর একাই লড়াই চালিয়ে যান জাকির। যদিও সতীর্থদের সঙ্গ পাননি এই বাঁহাতি। সিলেটও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। ৩২ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করে জাকির বিদায় নিলে থমকে যায় রানের গতি। কেননা এদিন তেমন কিছুই করতে পারেননি হার্ড হিটার জাকের আলী অনিক ও অধিনায়ক আরিফুল হক।
মুনসে ও জাকিরের পর দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন শুধু সুমন খান। শেষদিকে নেমে ৫ বলে ১২ রানের ক্যামিও খেলেন এই পেসার। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫২ রান।
খুলনার পক্ষে হাসান মাহমুদ, আবু হায়দার রনি ও সালমান ইরশাদ দুটি করে উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ, আমের জামাল ও নাসুম আহমেদ।