ছবি: রিশাদ হোসেনের ফেসবুক থেকে
দিনটা রিশাদ হোসেনেরই ছিল। দল যখন ধুঁকছিল তখন ব্যাট হাতে ক্যামিও ইনিংস। বোলিংয়েও ক্যারিশমা। ফিল্ডিংয়ে ছিলেন আপ টু দ্য মার্ক। দারুণ এক থ্রোতে রিশাদ ফিরিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটারকে, সীমানার কাছেও দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা। এমন ‘কম্পিলিট প্যাকেজের’ দিনে রিশাদ নিজেকে উঁচুতে তুলছেন না।
গতকাল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বিপিএলে ৩৯ রান করেন রিশাদ। তার ১৯ বলের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা। তার এমন ইনিংসে ৯ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে বরিশাল। পরে বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও অবদান রেখেছিলেন। জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
এমন দিনকেও রিশাদ নিজের সেরা মনে করছেন না। সংবাদ সম্মেলনেও রিশাদ তেমন বলেছেন, ‘দিন আসলে আমার ছিল কিনা জানি না। চেষ্টা করেছি এতটুকুই।’
ব্যাটিংয়ে ছোট্ট ঝড় তোলার পর রিশাদ বল হাতেও দেখান ক্যামিও। ১৭ রান খরচায় নেন এক উইকেট। তারচেয়েও বড় কাজ করেছেন টাইগার স্পিনার। দারুণ এক থ্রোতে ফিরিয়েছেন খুলনার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। ওই রান আউটকেই ম্যাচের মোড় হিসেবে বলেছে খুলনা।
তবে রিশাদের কাছে এটি জাস্ট একটা সুযোগ এবং সেটির সদ্ব্যহার, ‘সীমানায় ফিল্ডিং করলে এরকম সুযোগ কয়েকটা আসে। (দৌড়ে) ধরে ফেলতে পেরেছি, এজন্য অ্যাডজাস্ট করে (থ্রো) মেরে দিয়েছি আর কী। এসবের জন্য ফিল্ডিং অনুশীলন একটু ভিন্ন হয়—আক্রমণাত্মক। যেহেতু সীমানায় ফিল্ডিং করি। স্লগ ওভারে সীমানায় ফিল্ডিং করলে একটু আক্রমণাত্মক ও আগ্রাসী থাকতে হয়।’
ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে ফরচুন বরিশালের ভরসার নাম হয়ে ওঠা রিশাদ নিজের পরিকল্পনায় বিশ্বাস রাখেন। তরুণ এই তুর্কি গতকাল চট্টগ্রামে শুনিয়েছেন দ্রুত রান তোলার নেপথ্যও, ‘নিজের প্রতি ধৈর্য্য ও বিশ্বাস রেখেছিলাম। নিজের শক্তিমত্তার বাইরে যাইনি। চেষ্টা করেছি দলকে কীভাবে ব্যাটিংয়ে সাহায্য করা যায়। আমি শুধু নিজের পরিকল্পনায় ছিলাম।’