আইপিএলের নিলামে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ঋষভ পান্ত। তিনি সর্বকালের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়ে আইপিএলের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক গড়ে দিয়েছেন। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে অধিনায়ক হিসাবে ঘোষণা করেছে।
নিলামের সময় পান্তকে পেয়ে বসেছিল এক উদ্বেগ। কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভিতরে ভিতরে একটাই চিন্তা হচ্ছিল। পাঞ্জাবকে নিয়ে। ওরা এত টাকা নিয়ে নিলামে এসেছিল যে কেউ চাইলেও একটা সময় পর আর কিছু করার ছিল না। ওদের কাছে ১১২ কোটি টাকা ছিল। তারপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্স ছিল ৮২ কোটির। যখন শ্রেয়সকে পাঞ্জাব দলে নেয়, তখন আমি খানিকটা স্বস্তি পাই যে এবার আমি লক্ষ্ণৌয়ে যোগ দিতে পারি।’
ঋষভ পান্তকে দলে নিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও লক্ষ্ণৌ ফ্র্যাঞ্চাইজি সবচেয়ে বেশি দর হাঁকিয়ে তাকে দলে নেয়। তবে পান্তের মন্তব্যের কারণে একটি প্রশ্ন উঠেছে— কেন তিনি পাঞ্জাবে যোগ দিতে চাননি? এর পেছনে কি রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি কোনো কারণ? পাঞ্জাবের বর্তমান কোচ রিকি পন্টিং, যিনি আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ ছিলেন, সেখানে পান্ত অধিনায়ক ছিলেন।
অধিনায়ক হিসাবে নিজের আদর্শ সম্পর্কে পান্ত স্পষ্ট করে বলেন, ‘রোহিত ভাইয়ের কাছ থেকে শেখার মতো অনেক কিছু আছে। দলের ক্রিকেটারদের যত্ন কীভাবে নিতে হয়, সেটা তার কাছ থেকে শিখেছি। আমি যখন কোনও দলকে নেতৃত্ব দিই, একই অনুভূতি হয়। তুমি যদি একজন ক্রিকেটারকে আত্মবিশ্বাস আর উৎসাহ দাও, সে তোমার জন্য, দলের জন্য কী করতে পারে কল্পনা করা যাবে না। আমিও সেই আদর্শ মেনে চলি।’
নিজের নেতৃত্বের লক্ষ্য সম্পর্কে পান্ত জানান, ‘আমি ক্রিকেটারদের পাশে থাকতে চাই। তাদের বিশ্বাস জোগাতে চাই। স্পষ্ট কথা বলতে চাই যে, দল তার কাছে কী প্রত্যাশা করছে বা ঠিক কী ভূমিকা ভেবে রেখেছে। সেটাই আমার মন্ত্র। আর সঙ্গে থাকতে হবে হার না মানা মনোভাব। মরার আগে মরব না। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। পারফরম্যান্সের ভাল-খারাপ আছে। তবে তুমি কতটা লড়াই করলে, সেটাই আসল। তুমি কি মাঠে নেমে তোমার একশো শতাংশ দিচ্ছ? ব্যক্তি হিসাবে সেটাই একমাত্র আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।’