ছবি: সংগৃহীত
প্রথম সেটে রাজত্ব দেখিয়েছিলেন কার্লোস আলকারাজ। দ্বিতীয় সেটে তার প্রতিপক্ষ নোভাক জোকোভিচ পান পায়ে চোট। শঙ্কা জেগেছিল, তবে কি জোকারের বিদায় হতে চলছে! হয়নি। দারুণ প্রত্যাবর্তনে ফিরে আসেন সার্বিয়ান তারকা। ২৫ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের পথে থাকা জোকারকে মাঠে থেকে সমর্থন করেছিলেন তার স্ত্রী ও সন্তানেরা। ম্যাচশেষে তাদের উদ্দেশেই বুম ধরেছিলেন জোকার।
২১ বর্ষী আলকারাজের সামনে প্রথম সেটে অসহায় ছিলেন জোকার। শুরু করেছিলেন হেরে। পরের সেটগুলোতে স্প্যানিশ তরুণকে রীতিমতো উড়িয়ে দেন।
স্টেডিয়ামে এদিন উপস্থিত ছিলেন জোকোভিচের স্ত্রী এবং সন্তানরা। জয়ের পর তাদের দিকে ছুড়ে দেন উড়ন্ত চুম্বন। আগের ম্যাচে কোর্ট সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তবে এদিন বুম হাতে নিয়েই পরিবারের স্তুতি গান, ‘স্টেডিয়ামে সন্তানদের দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি। ওরা আমাকে সমর্থন করতে এসেছে দেখে ভালো লাগছে।’
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পুরুষদের সিঙ্গলসের কোয়ার্টার ফাইনালে সার্বিয়ান কিংবদন্তি জিতেছে ৪-৬, ৬-৪, ৬-৩, ৬-৪ ব্যবধানে। প্রথম সেটে হারার পর প্রত্যাবর্তন করেন জোকার। পরপর দুটি সেট অনায়াসে জিতে ম্যাচের দখল নিয়ে নেন।
মাঝে অবশ্য পায়ের সমস্যা হওয়ায় চিকিৎসাও করাতে হয়। সব সমস্যা পেছনে ফেলে ১২বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে পৌঁছে যান জোকার। চতুর্থ সেটের শেষে আলকারাজ ফেরার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। তবে তা কাজে লাগেনি।
চার সেটের কোয়ার্টার ফাইনাল লড়াই চলে ৩ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট। পেশাদার সার্কিটে আলকারাজের বিপক্ষে এই নিয়ে মোট ৮ বার লড়াই চালান জোকার। ৫টি ম্যাচ জেতেন। আলকারাজ জিতেছেন ৩টি ম্যাচ। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে উইম্বলডনের ফাইনালে হারানো ছাড়াও কার্লোস ২০২২ সালে মাদ্রিদ ওপেনের সেমিফাইনালে হারিয়ে দেন জোকারকে। গতকাল অবশ্য লড়াইও তেমন চালাতে পারেননি তরুণ স্প্যানিয়ার্ড।