ছবি: সংগৃহীত
ড্রেসিংরুমে শান্তি ফেরাতে গিয়ে ভারত দলেই কি অশান্তি সৃষ্টি করে ফেলবে গৌতম গম্ভীর? বোর্ডের অনুমতিতে ভারতের কোচের কড়া নির্দেশনা, ‘মাই ওয়ে অর হাইওয়ে’। নিয়ম মেনে চলো, নয়তো ভাগো। ক্রিকেটারদের প্রতি কঠোরতার শেষ এখানেই নয়। সিনিয়র বিরাট কোহলি কিংবা তরুণ ঋষভ পান্ত— ১০ দফা নিয়মের কোনো একটি ভাঙলেও হতে পারে শাস্তি।
ভারতের গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, লঘু পাপে গুরুদণ্ড
দেওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে ক্রিকেটারদের শৃঙ্খলা শেখান। শাস্তিরও রয়েছে বেশ কিছু দিক।
তবে সিনিয়র-জুনিয়র মানবে না ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। নিয়ম ভাঙা ক্রিকেটারকে
চুক্তি অনুযায়ী যে অর্থ দেওয়ার কথা সেটি কমিয়ে দিতে পারে। কমানো হবে ম্যাচ ফিও। এছাড়া
অপরাধের মাত্রা বাড়লে ওই ক্রিকেটারকে আইপিএলসহ বোর্ড পরিচালিত সব টুর্নামেন্ট থেকে
নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
বোর্ডের সূত্রে পত্রিকাটি জানিয়েছে, ‘বিসিসিআই চাইলে একজন ক্রিকেটারের
বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে
অর্থের পরিমাণ বা ম্যাচ ফি কমানো হতে পারে। তাকে বিসিসিআই পরিচালিত সমস্ত টুর্নামেন্টে
নিষিদ্ধ করা হতে পারে।’
অনিয়ম করলে তবে কি শাস্তি থেকে বাঁচার উপায় নেই কোহলি-ঋষভদের? বোর্ডের
এক কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘সব আবেদন নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এবং
প্রধান কোচের অনুমোদিত হতে হবে। তারা শাস্তি মওকুফের আবেদনে ছাড়পত্র না দিলে কড়া
শাস্তির পথে হাঁটতে পারে বোর্ড।’
‘শৃঙ্খলা, একতা ও ইতিবাচক পরিবেশ’ নিশ্চিতে মনোযোগী ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের পারফরম্যান্স নিম্নগামী। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সবশেষ সিরিজ হারে হাতছাড়া হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তাই ক্রিকেটারদের তটস্থ করতে শৃঙ্খলা নিয়ে কঠোর অব্স্থানে বিসিসিআই।