Logo
Logo
×

খেলা

‘থ্রি ডব্লু’র একজন ওয়ালকটের গল্প

Icon

পারভেজ আলম চৌধুরী

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম

‘থ্রি ডব্লু’র একজন ওয়ালকটের গল্প

ছবি: সংগৃহীত।

বিখ্যাত ‘থ্রি ডব্লু’র নাম বর্ষীয়ান ক্রিকেটরসিকদের মনে থাকার কথা। চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটীয় গরিমা ঐশ্বর্যমণ্ডিত করতে ‘থ্রি ডব্লু’র অবদান ছিল অনস্বীকার্য। কথায় বলে, এক বনে দুই সিংহ থাকতে পারে না। সেখানে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের কৌলীন্য ঋদ্ধ হয় ‘থ্রি ডব্লু’র কল্যাণে।

তিন ‘ডব্লু’ মিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেলেন, যে বৈভব আজও আবিষ্ট করে রেখেছে ১৩টি দ্বীপরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এত কথার অলিগলি পেরিয়ে মহাসড়কে পৌঁছার পরও ‘থ্রি ডব্লু’র নামই তো বলা হয়নি।

ক্রিকেটের সঙ্গে যাদের নিবিড় সখ্য, উইন্ডিজের ক্রিকেট অনুসরণ করে যারা প্রৌঢ়ত্বের পাচিল টপকে বার্ধক্যের বারান্দায় স্মৃতির রোদ পোহান, তারা জানেন এই তিন নাম-ক্লাইড ওয়ালকট, এভারটন উইকস ও ফ্র্যাংক ওরেল।

তিনজনের মধ্যে আজ প্রথমজনের একটু-আধটু গল্প। ৯৯ বছর আগে ১৭ জানুয়ারি এই গ্রহের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন স্যার ক্লাইড ওয়ালকট। ১৯২৬ সালের এই দিনে জন্মেছিলেন অত্যাশ্চর্য স্কোয়ার কাটের এই বাল্লেবাজ। তার মায়াবী ব্যাটিং সুরভি ছড়াত পুষ্পের মতো, যার নাম হতে পারে শুধুই মাধুর্য।

১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫-তিন বছরে ১২ টেস্টে তার উইলো থেকে বেরিয়েছিল ১০টি সেঞ্চুরি। যার পাঁচটিই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, তাও এক সিরিজে। যদিও সেই ১০টি শতকের মধ্যে মাত্র একটি জয়ের মালা পরিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের গলায়। সেই সেঞ্চুরিটিও এভারেস্টতুল্য-ব্রিজটাউন টেস্টে ২২০।

ওই শতকের সিঁড়ি বেয়ে উইন্ডিজ উঠেছিল জয়ের মঞ্চে। পরাজিত দলের নাম ইংল্যান্ড। পরে আইসিসির ম্যাচ রেফারি হন ওয়ালকট। সেই অভিজ্ঞতা তার সুখকর হয়নি। ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ৮০ বছর বয়সে জীবনের চৌকাঠ পেরিয়ে মৃত্যুর ‘বাইশ গজে’ হেঁটে যান তিনি।

তিন বন্ধু ক্যারিবীয় ক্রিকেটকে আকাশে তুলে দিতে অশেষ অবদান রেখেছিলেন একসঙ্গে। জীবনের ওপারেও একে অপরের পাশাপাশি রইলেন তারা। বারবাডোজের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইউনিভার্সিটির কেভ হিল ক্যাম্পাসে বিখ্যাত ‘থ্রি ডব্লু’র সমাধি। কিংবদন্তি ত্রয়ীর শেষ সদস্য হিসাবে এভারটন উইকস ৯৫ বছর বয়সে এই গ্রহ ছেড়ে সেখানকার বাসিন্দা হয়েছেন।

কেভ হিল ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখে ‘থ্রি ডব্লু’র নামে ক্রিকেট মাঠ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের পার্কে ‘ডব্লু’র আদলে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ যে বারবাডোজের তিন ক্রিকেট জায়ান্টের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য, সেকথা না বললেও চলে। বারবাডোজে কয়েক মাইলের ব্যবধানে তিনজনের জন্ম। মৃত্যু সেই দূরত্বও ঘুচিয়ে দেয় তিন বন্ধুর।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম