অবসর নিয়ে পাকিস্তানের পেসার বললেন— ‘দেখিয়ে দেব’
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
একসময়ের পাকিস্তান দলে খেলা এহসানউল্লাহ রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ ঝেড়েছেন— ছবি: সংগৃহীত
এই পিএসএল থেকেই উঠে এসেছিলেন এহসানউল্লাহ। গতির তোপ দেগেছিলেন। পাকিস্তান সুপার লিগে চিনিয়েছিলেন নিজের জাত। সুযোগটাও এসে গিয়েছিল। পাকিস্তানের জার্সিতে কয়েকমাসের ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়ে যান। কিন্তু বিধিবাম, কনুইয়ের চোট সবকিছু থেকে ছিটকে দেয়। জাতীয় দলে জায়গা তো হারিয়েছেনই, এবার দল পাননি পিএসএলেও। তাইতো রাগ-ক্ষোভ আর দুঃখে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টই থেকেই অবসর নিয়ে বসলেন।
অবসর নিয়েই থামেননি এহসানউল্লাহ। রীতিমতো
নিজেকে নিয়ে প্রতিজ্ঞা করে বসেছেন। গতি দিতে পারেন না বলে যে অভিযোগ শুনেছেন, সেটিকে
ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চান। এখন থেকে তার লক্ষ্য কোনো ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট নয়, সরাসরি পাকিস্তান
দল। তার জন্য ১৫০-১৬০ কিলোমিটার ঘণ্টায় বোলিং করার প্রতিশ্রুতি শুনিয়েছেন পাকিস্তান
দলের বাইরে থাকা পেসার।
তবে তার পিএসএল বয়কট মোটেও আবেগতাড়িত
হয়ে সিদ্ধান্ত নয়। গত পরশু হওয়া ড্রাফটে দল না পাওয়ার আক্ষেপ শোনাতে গিয়ে এহসানউল্লাহ
বলেছেন, ‘ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট
আর খেলতে চাই না। আজকের পর পাকিস্তান সুপার লিগ বয়কট করছি এবং অবসর নিচ্ছি। আমি আর
পিএসএলে কখনও খেলব না। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে নিজেকে প্রমাণ করেই পাকিস্তানের জাতীয় দলের
হয়ে খেলব।’
পিএসএলের অষ্টম সংস্করণে ২২টি উইকেট
নিয়েছিলেন এহসানউল্লাহ। ইকোনমি রেট ছিল ৭.৫৯। এরপরই সুযোগ আসে পাকিস্তান দলে। তবে দুই
ফরম্যাটে অভিষেক হওয়া বছরই পান কনুইয়ে চোট। যার জন্য তাকে দলেও নেয়নি মুলতান সুলতানস।
বিষয়টিতে ক্ষোভ ঝড়েছে এহসানউল্লাহর কণ্ঠে। তার মতে, এই পৃথিবী স্বার্থপর। স্বার্থ ফুরালে
সব ফুরায়।
এহসান বলেছেন, ‘(মুলতানের) কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ
করেনি। এই পৃথিবী স্বার্থপর। যখন কেউ অন্য কাউকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর কাছে চলে যায়।
ভালো পারফর্ম করতে পারলে দলগুলো আমার পিছনে ছুটবে, সেটাই আমার টার্গেট। যারা যারা আমায়
বলেছে আমি ১৩০-১৩৫ গতির বোলার। তাদের দেখিয়ে দেব। আমি ১৫০-১৬০ গতিবেগে বোলিং করব আগামী
এক-দেড় মাসে। দেখিয়ে দেব, অষ্টম সংস্করণে খেলা এহসানউল্লাহ কত পরিবর্তন হয়ে গেছে।’
এবার পিএসএলে দল না পাওয়া তারকাদের
তালিকাও বেশ লম্বা। যেসব বিদেশি খেলোয়াড় আইপিএলে দল পাননি—এমন অনেকেই পিএসএলের ড্রাফটে
নাম দিয়েছিলেন। যাদের বেশিরভাগ থেকেছেন অবিক্রিত। সেই নামগুলোও বেশ ভারী ভারী। টি-টোয়েন্টি
ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা হয়ে থাকা সাকিবকে নিতে কেউ আগ্রহ দেখায়নি। ড্রাফটে অবিক্রিত থেকেছেন
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদও।