মায়ার্সকে আজ থামাতে পারেনি রংপুর— ছবি: রংপুর রাইডার্স
দেখেশুনে শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। পরে ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার। সেই ভিতে বড় রানের ইমারত দাঁড় করান তিনে নামা কাইল মায়ার্স। ক্যারিবিয়ান তারকার ঝড়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আসে ১৯৭ রান। বিপিএলে ঢাকা পর্বে আগের দেখায় বড় ধাক্কা খেয়েছিল তামিম ব্রিগেড। এবার নুরুল হাসানদের বিপক্ষে বদলা নেবার সুযোগ।
লাক্কাতুরার চা বাগান ঘেরা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম একদিন বিরতির পর মজে ক্রিকেটে। কুড়ির কুড়ির মঞ্চে আজ ৫ উইকেট হারিয়ে দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় বরিশাল। নাহিদ রানাদের তটস্ত রাখা ব্যাটারদের কাজ আপাতত শেষ, বাকিটা এবার শাহিন শাহ আফ্রিদিদের।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচও হারেনি রংপুর। টানা পাঁচ জয় তুলেছে রাইডার্সরা। চার ম্যাচ খেলা বরিশালের একমাত্র হার এসেছিল এই রংপুরের বিপক্ষেই। তামিমদের দল মিরপুরে পড়েছিল তোপের মুখে। অল্পতে গুটিয়ে যাবার পর হেরেছিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
বৃহস্পতিবার সেই ভুল করেনি বরিশাল। ধীরগতির শুরু করলেও পরে সেটি পুষিয়ে নিয়েছেন তামিম-শান্ত। রান করতে ভুগতে থাকা শান্ত করেন ৪১ রান। ওপেনিংয়ে ৮১ রানের জুটিতে তিনি ৩০ বলে করেন এই রান। তামিম ফেরার আগে ৩৪ বলে খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। হৃদয় করেছেন ১৮ বলে ২৩। বাকি সময়ে মায়ার্স ও ফাহিম আশরাফ তাণ্ডব।
ম্যাচের ১৮ ওভারে দেড়শ ছাড়ানো দল ৪ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল তখন ঝড়ো ইনিংস খেলেন ফাহিম। পাকিস্তানের এই ব্যাটার করেন ৬ বলে ২০ রান।
নুরুল হাসান ছয় জন বোলার ব্যবহার করলেও তেমন কেউ সুবিধা করতে পারেননি। ২ উইকেট নেওয়া কামরুল ইসলাম ছিলেন যথেষ্ট খরুচে। ৪ ওভারে ১৬ রান দেওয়া আকিব জাভেদ ছিলেন আলাদা। ফিরিয়েছিলেন হৃদয়কেও। বরিশালের হয়ে দিনের সেরা ইনিংস খেলেন মায়ার্স। ২৯ বলে ৭ ছক্কা ও এক চারে আনেন ৬১ রান। তার ফিফটি তাণ্ডবে আসা ১৯৭ রানের জবাবে রংপুরকে ওভারপ্রতি তুলতে হবে ৯.৮৬ করে রান।