মিকেল আর্তেতা এমনটি আগেও করেছেন। কখনও মাঠকে দুষেছেন, কখনও দুষেছেন মাঠের ঘাসকে। আর্সেনাল কোচের আঙুল এবার বলের দিকে। ইংলিশ লিগ কাপে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে গানার্সরা। ঘরের মাঠে। তাও আবার সেমিফাইনালের প্রথম লেগে। অমন হারের পরই মাথাখারাপ অবস্থা আর্তেতার।

এমিরেটস স্টেডিয়ামে অবশ্য তার দলই ছিল ফেবারিট। মাঠের খেলায়ও নিউক্যাসলকে টেক্কা দিয়েছে। বল দখল, গোলে শট কিংবা আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ— সব বিভাগেই দাপট চালিয়েছিল গানার্সরা। তবে ক্যাসলদের রক্ষণদূর্গ টলাতে পারেনি। বেশ কয়েকবার সুযোগ আসলেও বল জালে জড়ায়নি। ম্যাচ শেষে আর্তেতা তাই রাগঢাক না রেখেই বলেছেন, বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি।

ফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে দুটি গোল করেছেন নিউক্যাসলের অ্যালেক্সান্ডার ইসাক ও অ্যান্থনি গর্ডন। অথচ পুরো ম্যাচে আর্সেনাল ২৩টি শট নিয়েও লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে মাত্র ৩টি। গাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির শট গিয়ে আঘাত করেছে পোস্টে। কাই হাভার্টজ হেড করেন লক্ষ্যের অনেক বাইরে। তাই আলাদা করে বলের কথা বলেছেন আর্তেতা।

গানার্স কোচ বলেছেন, ‘অনেক গুলো শট বারের ওপর দিয়ে মেরেছি। এটা বলতে হবে, এই বলটা বাতাসে অনেক ভাসে। তবে শেষ পর্যন্ত যা হওয়ার সেটা হয়ে গেছে। এখন আমাদের পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে।’

লিগ কাপে ব্যবহৃত বলটি পিউমার তৈরি। তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নাইকির বল দিয়ে খেলা হয়। সেজন্যই পার্থক্যের কথা তুলেছেন আর্তেতা, ‘এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রিমিয়ার লিগের বল থেকে এটাতে অনেক পার্থক্য। এটা যেহেতু বেশি ভাসে, তাই এই বলটাতে অভ্যস্ত হতে হয়।’

প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও আর্তেতা আশাবাদী তারা ফিরবেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ক্যাসলদের মাঠ সেন্ট জেমস পার্কে দ্বিতীয় লেগ। ২ গোলে পিছিয়ে থাকা আর্সেনালকে ফাইনালে যেতে হলে, দারুণ কিছুই করতে হবে।