ছবি: সংগৃহীত
বিপিএলে প্রথম দুই ম্যাচ উইকেট শূন্য থাকার পর তৃতীয় ম্যাচে এসে অবশেষে উইকেটের দেখা পেয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচে ফরচুন বরিশালের হয়ে ২০ রান খরচায় এই পাকিস্তানি পেসারের শিকার ২ উইকেট। এদিন জয় পেয়েছে তার দলও। আর জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশি পেসারদের গুণগান করেন আফ্রিদি।
বিপিএল শুরুর আগেও বাংলাদেশি পেসারদের গুণগান গেয়েছিলেন এই পেসার। তবে সেবার নাহিদ রানার প্রশংসায় বেশি শোনা গিয়েছিল তার কণ্ঠে। এবার পেস বিভাগের বাকিদের নিয়েও জানিয়েছেন নিজের ভাবনার কথা। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পেস বিভাগে কতটা শক্তিশালী বাংলাদেশ।
আফ্রিদি বলেন, ‘আমার মনে হয় তাদের বেশ ভালো পেস আক্রমণ রয়েছে। (নাহিদ) রানা আছে, সে অনেক গতিশীল। তাকে এই শক্তিটা ধরে রাখতে হবে। লাল বলের ক্রিকেট আরও খেললে সে আরও পরিণত হবে। তাসকিন (আহমেদ) রয়েছে, সে দলের পেস ইউনিটের নেতা। আরও একজন আছে তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেনও ছিল, যে কিনা চোটে ছিল। সে এখন সেরে উঠছে। ফলে আমার মনে হয় তাদের বেশ ভালো বোলিং ইউনিট রয়েছে।’
বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসায় নিজের মুগ্ধতার কথা জানান আফ্রিদি, ‘এখনও পর্যন্ত (বিপিএল) দারুণ উপভোগ করছি। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেটকে অনেক ভালোবাসে। মাঠে দেখবেন দর্শকে ঠাসা থাকে। অনেক সাপোর্ট থাকে। ফলে বেশ ভালো সময় যাচ্ছে এবং অবশ্যই তামিম (ইকবাল) ভাইয়ের সাথে।’
মিরপুর ও সিলেটের উইকেটের পাথ্যর্ক কেমন; সে সম্পর্কে আফ্রিদি বলেন, ‘এই উইকেট আগের মিরপুরের চেয়ে ভিন্ন। কম বাউন্স এখানে। সুইংও কম। ফলে টাইট বোলিং করে যেতে হবে। গতকাল কিছু প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বোলিং ফিল্ডিং করা হয়েছে। ফলে ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলাম যে আজকে কী করতে হবে।’
বাংলাদেশে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না আফ্রিদি। উইকেট না পাওয়া চাপের কারণ কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে আমার কোনো চাপ নেই। অতীতে কী হয়েছে, ভবিষ্যতে কী হবে এসব নিয়ে আমি ভাবি না। আমি শুধু বর্তমান নিয়ে ভাবি। উইকেট না নিলেও সমস্যা নেই, আমি প্রসেস ধরে রাখার পক্ষে।’
শাহিন আফ্রিদি এরপরে আরও যোগ করেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আসলে উইকেট পাওয়াটা আপনার হাতে নেই। কারণ অনেক জায়গায় ছোট বাউন্ডারিতে ভালো উইকেট থাকে। ফলে প্রসেস ফলো করে যেতে হবে শুধু। এটাই করেছি আমি।’