ফাহিম কি ক্রিকেট অপারেশন্সের মাস্টার, প্রশ্ন সুজনের
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
খালেদ মাহমুদ সুজন ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য। দুইজনই গণমাধ্যমে নিজেদের মনোমালিন্যের বিষয়ে কথা বলেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বোর্ড পরিচালকদের দায়িত্ব বণ্টন ইস্যুতেই তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে দুই শীর্ষ বোর্ড কর্তার বিরোধ নিয়ে সিলেটে জানতে চাওয়া হয়েছিল ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ সুজনের কাছে।
সুজন বলেন, ‘বিশেষ করে ফাহিম ভাই অনেক ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। উনি অনেক সুদূরপ্রসারী প্ল্যান করছিলেন, দেখছেন অনেক কিছু চিন্তা করছেন। এখন এগুলো তো দেখতেছি আমি একটা লোভ লালসার মত হয়ে যাচ্ছে। অপারেশন্স না পেলে কাজ করবো না, পদত্যাগ করবো আমার এগুলো লোভ-লালসা মনে হয় জাস্ট।’
সুজন যোগ করেন, ‘কেন আমার ক্রিকেট অপারেশন্স নিতে হবে, আমি অন্য কমিটির চেয়ারম্যান হয়ে সার্ব করতে পারবো না কেন। আমার কথা হচ্ছে উনি কি ক্রিকেট অপারেশনের মাস্টার? এখানে তো আকরাম ভাই মাস্টার। ওনার আগে আকরাম ভাই অপারেশন্স চেয়ারম্যান ছিলেন। উনি কেন বলতেছেন যে উনি এটা না পাইলে হবে না ইগোর ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে রোববার (৫ জানুয়ারি) একটি বেসরকারি চ্যানেলের সঙ্গে আলাপে বোর্ড সভাপতির আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন বর্ষীয়ান কোচ এবং বর্তমান বোর্ড পরিচালক ফাহিম। বলেন, ‘আমার মাঝেমাঝে মনে হয় বোর্ডে না থাকলেই বুঝি ভালো হয়। কারণ বোর্ডের বাইরে থেকে আমি যে ভূমিকা রাখতে পারি বা কথা বলতে পারি, তা বোর্ডে থেকে সম্ভব না। আমি যদি বোর্ডে থাকি, আমাকে কাজ করতে হবে। যদি কাজ করতে না পারি, তারচে ভালো বাইরে থাকা।’
ফাহিমের অভিযোগ নিয়ে পরে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পদত্যাগ করতে চায়নি (ফাহিম), কাজ করা কঠিন বলেছে। পদত্যাগ করতে চেয়েছে এমনটা আমি শুনিনি, যাই হোক ফাহিম ভাইয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। এই বোর্ড কিন্তু ফাহিম ভাই আর আমাকে বোঝায়। আর যারা আছে তারা কিন্তু সবাই পুরাতন।’
ফাহিমের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে কৌশলী জবাব দেন ফারুক, ‘দুর্ব্যবহার এটা তো আসলে একটা আপেক্ষিক টার্ম। আপনাকে একটা ঘুষি মারলে দুর্ব্যবহার, ছোট্ট একটা কথা বললেও দুর্ব্যবহার। কথাটা আসলে জোরে বলেছি! এরকম কোন কথা বলেছি যেটা উনি পছন্দ করেননি। অনেক সময় অনেক জিনিস কথা বলে ঠিক করে ফেলা যায়।’