Logo
Logo
×

খেলা

মুহাম্মদ শামি থেকে হার্দিক, ভারতীয় ক্রিকেটে ডিভোর্সের হিড়িক

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম

মুহাম্মদ শামি থেকে হার্দিক, ভারতীয় ক্রিকেটে ডিভোর্সের হিড়িক

ভারতীয় ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। মাঠে তাদের উজ্জ্বল পারফর্মেন্সের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোও অনেক সময় সংবাদপত্রের শিরোনাম দখল করে। একাধিক ক্রিকেটার তাদের ব্যক্তিগত জীবনে বিচ্ছেদের যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়েছেন। যা তাদের ক্যারিয়ারও বিশেষ প্রভাব ফেলেছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোন কোন ক্রিকেটার এই যন্ত্রণার সম্মুখীন হয়েছেন।

হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচ

২০২০ সালের মাঝামাঝিতে সার্বিয়ান মডেল নাতাশা স্ট্যানকোভিচকে বিয়ে করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে গত বছর হঠাৎ হার্দিক পান্ডিয়া ও অভিনেত্রী নাতাশা স্ট্যানকোভিচ তাদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। দুজনেই সামাজিক মাধ্যমে তাদের ৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন। যদিও একমাত্র পুত্র সন্তান অগস্ত্যকে একসঙ্গে বড় করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন তারা।

শিখর ধাওয়ান ও আয়েশা মুখার্জি

শিখর ধাওয়ান একসময় ভারতের ওপেনিং পার্টনার হিসেবে রোহিত শর্মার সঙ্গে মাঠে দারুণ সমন্বয় তৈরি করেছিলেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২০২৩ সালে তার স্ত্রী আয়েশা মুখার্জির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। শিখর ও আয়েশা ২০১২ সালে বিয়ে করেন। কিন্তু ১১ বছর পর তাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে। ২০২৩ সালে শিখর ধাওয়ান আদালতে মানসিক হয়রানির অভিযোগ তুলে এবং তার স্ত্রী আয়েশাকে ডিভোর্স দেন। আয়েশা ও তার ছেলে জোরোয়ার বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।

দীনেশ কার্তিক ও নিকিতা বানজার

দীনেশ কার্তিক ২০০৭ সালে তার ছোটবেলার বন্ধু নিকিতা বানজারাকে বিয়ে করেন। তাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিন স্থিতিশীল ছিল। তবে ২০১২ সালে কার্তিকের স্ত্রী নিকিতা তার সহকর্মী মুরালি বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এই ঘটনায় দীনেশ কার্তিক হতবাক হন। পরে ২০১২ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে দীনেশ কার্তিক স্কোয়াশ খেলোয়াড় দীপিকা পাল্লিকালকে বিয়ে করেন।

মুহাম্মদ শামি ও হাসিন জাহান

মুহাম্মদ শামি ও হাসিন জাহানের সম্পর্কের গল্পও বর্তমান সময় খুবই আলোচিত। ২০১৪ সালে তারা বিয়ে করেন তারা। বিয়ের কিছুদিন পরেই হাসিন শামির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। যার মধ্যে ছিল পারিবারিক সহিংসতা এবং শামির বিবাহের বাইরে অন্য নারীদের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। ২০১৮ সালে তারা আলাদা হয়ে যান। বর্তমানে শামির মেয়ে হাসিনের সঙ্গেই থাকে। তাদের বিচ্ছেদের মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন।

মুহাম্মদ আজহারউদ্দিন

ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুহাম্মদ আজহারউদ্দিনেরও বিবাহ বিচ্ছেদের ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯৬ সালে তিনি তার প্রথম স্ত্রী নওরিনকে তালাক দেন। পরবর্তীতে বলিউড অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিজলানিকে বিয়ে করেন। কিন্তু কয়েক বছর পর তাদের সম্পর্কও ভেঙে যায়। আজহার সঙ্গীতাকে তালাক দেন। এরপর তিনি ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় জ্বলা গুট্টাকে বিয়ে করেন।

বিনোদ কাম্বলি

বিনোদ কাম্বলি এক সময় ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম তারকা ছিলেন। ১৯৮২ সালে তার ছোটবেলার বন্ধু নোযেলা লুইসকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তাদের সম্পর্কও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিয়ের পর স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে কাম্বলি তার থেকে বিচ্ছেদ নেন।

জাগল শ্রীনাথ

ভারতীয় ফাস্ট বোলার জাগল শ্রীনাথ ১৯৯৯ সালে জ্যোস্নাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ২০০৭ সালে তাদের ৪ বছরের সম্পর্কের পর বিচ্ছেদ ঘটে। এর এক বছর পর তিনি সাংবাদিক মাধবী পাত্রাবলিকে বিয়ে করেন।

এছাড়া সম্প্রতি ভারতের তারকা লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও তার স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় তুলেছে। এমনকি তারা একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেছেন। যদিও এখন পর্যন্ত এই দম্পতি তাদের সম্পর্কের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আনফলো করার বিষয়টি ভক্তদের মধ্যে কিছু প্রশ্ন তৈরি করেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম