ছবি: সংগৃহীত
সবার আগে প্রশ্নটি তুলেছেন সুনীল গাভাস্কার। কমেন্ট্রি বক্স থেকে ভারতের হার দেখেছেন। ভারতের কিংবদন্তির নিজের নামে করা বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিটাও ১০ বছর পর হয়েছে হাতছাড়া। কষ্টটা বোধহয় তার একটু বেশি। রাগঢাক না রেখেই তাই রোহিতদের সমালোচনা করেছেন। তবে গাভাস্কারের তোপ সরাসরি কোচিং স্টাফদের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন তুলেছেন, এতকিছুর পর গৌতম গম্ভীরের আর কি দেখার বাকি!
বাদ দেওয়ার কথাও বলেছেন স্পষ্ট করে। একে তো বেশ কিছুদিন ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি ভালো না। জুনিয়র খেলোয়াড়ের সঙ্গে লেগে যাচ্ছেন কোচ গম্ভীর। কথা শোনাতে ছাড়ছেন না অভিজ্ঞ রোহিত কিংবা কোহলিকে। কড়া হেডমাস্টারের এমন আচরণে ফাঁটলও ধরেছে অনেকের সঙ্গে তার সম্পর্কে। এর মাঝে মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে এসেছে টানা সিরিজ হার। কোচিং নিয়ে কথা তো উঠবেই। বলেছেনও অনেকে। সুনীল গাভাস্কারের পর সৌরভ গাঙ্গুলীও সেদিকে নজর দিয়েছেন, পারফর্ম করুন নয়তো ছেড়ে দেন।
তবে গাভাস্কারের কষ্টের একমাত্র কারণ একই ভুল বারবার করেছেন ক্রিকেটাররা। কোহলি সবশেষ সিরিজে প্রায় প্রতিবারই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। উদ্দম মারতে গিয়ে ‘বোকার’ মতো ফিরেছেন ঋশভ পান্ত। ভারতের কিংবদন্তির প্রশ্ন, ওরা কেন এভাবে খেলবে? কোচ বা তার স্টাফরা কি করতে বসে আছেন?
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হার, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে নাকানি চুবানি এবং সবশেষ অস্ট্রেলিয়ায় ভূপাতিত। সব মিলিয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি তো গেছেই, সঙ্গে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও হাতছাড়া হয়েছে ভারতের।
এমন অবস্থায় শুধু খেলোয়াড়দের নয়, কোচ কোচবদলের ডাক দিয়েছেন গাভাস্কার, ‘প্রশ্ন উঠছে, অমুক খেলোয়াড়ের ভবিষ্যতে খেলা উচিত কিনা? আমি তো বলব, এই কোচেদেরই আর থাকা উচিত নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে কথা বলছি না। আমি টেস্ট খেলোয়াড়, ওয়ানডে ক্রিকেট অত বুঝি না। ইংল্যান্ড সফরের আর দুই-তিন মাস বাকি। অবশ্যই প্লেয়ারদের প্রশ্ন করা উচিত, তোমরা কেন রান পাচ্ছ না? একই সঙ্গে কোচদেরকেও প্রশ্ন করতে হবে, আপনারা কী করছেন?’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হারের পর কোচ নিয়ে প্রশ্ন শুনেছিলেন সৌরভ গাঙুলি। সৌরভ অবশ্য গাভাস্কারের মতো এখনই কোনও চূড়ান্ত ঘোষণায় রাজি নন। বরং তাঁর সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘পারফর্ম করতে হবে।’ অর্থাৎ, ভারতকে ভালো কিছু এনে দেও নয় কোচিংয়ের পদ ছাড়ও গম্ভীর!