
প্রিন্ট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
জাকের-মেহেদী যেভাবে সফল

জ্যোতির্ময় মন্ডল, সেন্ট ভিনসেন্ট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) থেকে
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
-67663a56f3590.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
টেস্ট সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। কিংসটনে তার ৯১ রানের ইনিংসেই বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট জিতেছিল। এরপর ওয়ানডে সিরিজেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। টি ২০ ফরম্যাটে তো চমক জাগানিয়া পারফর্ম। এক সফরে তিন ফরম্যাটেই ধারাবাহিক শুধু জাকের আলী।
তিনি জানালেন, ফরম্যাট বদলের সঙ্গে নিজের চিন্তাও বদলে ফেলেন। উইকেট বুঝে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেন। স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান তো দলে জায়গাই পাচ্ছিলেন না। পরিশ্রমের মাধ্যমে মানসিকতা বদলে ফেলেছেন তিনি।
মেহেদী জানালেন, নিজেকে পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ থেকেই এই সাফল্য। মেহেদী হয়েছেন সিরিজসেরা এবং জাকের তৃতীয় ম্যাচের সেরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৩-০ ব্যবধানে টি ২০ সিরিজ সবচেয়ে বড় অবদান এই দুজনের।
পুরস্কার বিতরণী শেষে ট্রফি নিয়েও পোজ দেওয়া হয়ে গেছে সবার। বাংলাদেশ দলের কোচ, খেলোয়াড়রা তখন ছোট ছোট দলে আলোচনা করছেন। সৌম্য সরকার হাতে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে এক পাশে বসে ছিলেন। কোচ ফিল সিমন্স তার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে গল্প করছিলেন। দু-একজন ক্রিকেটার আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমর্থকদের ছবি তোলার আবদার মেটাচ্ছিলেন।
এর মধ্যে মাঠে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাকের বলেন, ‘পুরোটাই মানসিকতার ব্যাপার। ক্যারিবীয়রা যে কোনো ফরম্যাটেই মেরে খেলতে পারে। বিশেষ করে নিজেদের কন্ডিশনে তো আরও ভয়ংকর। এখানে বিশ্বকাপে মোটেই ভালো খেলিনি। দেশে গিয়ে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এই সফরের জন্যও কাজ করেছি। এরপরই সাফল্য এসেছে।’
এদিকে মেহেদী হাসান সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় দলের কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ পাইনি। এখানে আমি গ্লোবাল সুপার লিগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। আমি উইকেট টু উইকেট বল করি। পরিকল্পনা সব কাজে লেগে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার এই পজিশনে কয়েকজনের সঙ্গে লড়াই করেই দলে জায়গা পেতে হয়। আর মিরাজ যেভাবে ব্যাট করছে তাতে একই পজিশনে খেলা খুবই কঠিন হয়ে যেত।’
ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ-উইন্ডিজ সিরিজ ২০২৪
আরও পড়ুন