স্মৃতির সরণি বেয়ে আপনি যদি আশি ও নব্বইয়ের দশকের ঘরোয়া ফুটবলে ঢুঁ মারেন, কী দেখবেন। যেদিন ঢাকার মাঠে মোহামেডান-আবাহনী দ্বৈরথের ডংকা বাজত, কী হতো।

বৈকালিক বিনোদনের অমৃত স্বাদ নিতে সকাল থেকে দুদলের সমর্থকদের ব্যস্ততা বেড়ে যেত। পাড়া-মহল্লায় বাড়ির ছাদে-বারান্দায় পতপত করে উড়ত সাদা-কালো, নীল-হলুদ পতাকা।

সেসব দিন গতায়ু হয়েছে অনেক আগে। মৃতপ্রায় ঘরোয়া ফুটবলে দুই মহারথির লড়াই নিয়ে এখন আর উন্মাদনা-উত্তেজনার ছিটেফোঁটাও থাকে না। তবু, আবাহনী-মোহামেডান পরস্পরের মুখোমুখি হয়। আজ সেই দিন।

কুমিল্লার ভাষাসৈনিক শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বেলা ২টা ৩০ মিনিটে শুরু প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বিদেশি খেলোয়াড়বিহীন আবাহনী ও সুলেমান দিয়াবাতের মোহামেডান।

আবাহনীর আগের সেই ধার নেই। মোহামেডানও শক্তিশালী দল নয়। ফেডারেশন কাপে আগের ম্যাচে তারা রহমতগঞ্জের কাছে হেরেছে। প্রিমিয়ার লিগের দুই রাউন্ড শেষে অবশ্য পুরো ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে তারা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে দুই থেকে সংখ্যাটা তিন করতে চান সাদা-কালোদের কোচ আলফাজ আহমেদ।

তার কথায়, ‘আমরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলে জিততে চাই। আবাহনীর বিদেশি না থাকলেও ওদের দলে জাতীয় দলের ফুটবলার রয়েছে। তাই তাদের খর্বশক্তির দল মনে করলে ভুল হবে। আমাদের প্রধান অস্ত্র অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চাই।’

এদিকে দেশি ফুটবলারদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন ঢাকা আবাহনীর কোচ মারুফুল হক। আগের দুই ম্যাচে তাদেরও জয় দুটি। মোহামেডানকে হারিয়ে ফুটবলারদের মধ্যে নতুন করে জাগরণ তৈরি করতে চান তিনি।

মারুফুলের কথায়, ‘দলে বিদেশি নেই, এটা কোনো সমস্যা নয়। আমাদের স্থানীয় ফুটবলাররা লড়াই করছে। মোহামেডানের বিপক্ষেও লড়াই অব্যাহত থাকবে। জয়ই আমাদের মূল লক্ষ্য।’