পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি নিশ্চিত করেছেন যে, তার দ্বিতীয় মেয়ে আনশার সঙ্গে পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির বিয়ের আগে তিনি একটি ‘তদন্ত প্রক্রিয়া’ বা যাচাই প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছিলেন। 

সম্প্রতি করাচিতে আন্তর্জাতিক উর্দু সম্মেলনে ‘ম্যায় হুঁ করাচি’ সেশনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।

শাহিদ আফ্রিদি বলেন, কোনো বাবা তার মেয়ের ভবিষ্যৎ এমনভাবে কাউকে অর্পণ করতে পারেন না। শাহীন যে পরিবেশে বড় হয়েছে তা প্রশংসনীয়। যদিও আমরা করাচিতে চলে আসার পর তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তার প্রশিক্ষকরা সবসময় তার চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করতেন।

পাঁচ কন্যার জনক আরও বলেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উভয় পক্ষেরই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অবদান রাখা উচিত’।

শাহিদ আফ্রিদির দ্বিতীয় মেয়ে আনশা এবং শাহীন শাহ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে করাচির একটি মসজিদে নিকাহ (বাগদান) করেন। পরে সেপ্টেম্বরে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ উদযাপন করেন।

২০২৪ সালের আগস্টে এই দম্পতির প্রথম সন্তান আলিয়ার জন্মগ্রহণ করে।

‘ম্যায় হুঁ করাচি’ সেশনে অংশ নিয়ে শাহিদ আফ্রিদি মজা করে দাদা হওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমার ছোট মেয়ের বিয়ে এবং তার সন্তান হওয়ার পরেই হয়তো এই নতুন পরিচয় গ্রহণ করব’।

শাহিদ আফ্রিদির এই মন্তব্য পরিবার এবং সম্পর্কের প্রতি তার দায়িত্বশীল মনোভাবের প্রমাণ দেয়। একই সঙ্গে, শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রতি তার বিশ্বাস এবং প্রশংসা সম্পর্কের সাফল্যের মূল ভিত্তি হিসেবেও কাজ করেছে।

উল্লেখ্য, শাহিদ আফ্রিদির পাঁচটি মেয়ে রয়েছে এবং আনশা তার দ্বিতীয় কন্যা। তার বড় মেয়ে আকসাও বিবাহিত।