Logo
Logo
×

খেলা

টেনিসের কর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ এএম

টেনিসের কর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

টেনিস কোর্ট থেকে খেলোয়াড় বের করে দিয়ে নিজের ছেলেকে খেলানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে অ্যাডহক কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে। শনিবার এমন ঘটনা ঘটেছে রমনার জাতীয় টেনিস কোর্টে।

অভিযোগে জানা যায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দারের মেয়ে হুমায়রা হায়দার জারা ও মোহাম্মদ হায়দার কোর্টে খেলার সময় তাদের বের করে দেন অ্যাডহক কমিটির সদস্য জহিরুল আলম ভূঁইয়া। সেখানে নিজের ছেলে জাওয়াদ ভূঁইয়াকে খেলার সুযোগ করে দেন। এতে অভিভাবকদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

সাধারণত অনুশীলনের জন্য টেনিস কোর্ট বুকিং নিতে হয় খেলোয়াড়দের। ঘণ্টাপ্রতি দুইশ টাকা করে বুকিং নিয়ে নিজেদের ঝালাইয়ের কাজ সারেন খেলোয়াড়রা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বুকিং ছিল জারা ও মোহাম্মদ হায়দারের। তারা অনুশীলনও করছিলেন।

অভিযোগে জানা যায়, তাদের অনুশীলনের সময় জহিরুল আলম নিজের ছেলেকে অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে বুকিং টাইমেই ওই দুই খেলোয়াড়কে বের করে দেন, যা নীতি বিরুদ্ধ। অভিভাবকরা মনে করেন, এ ধরনের স্বজনপ্রীতি করে কোমলমতি শিশুদের মন ভেঙে দিলে তারা টেনিস থেকে দূরে সরে যাবে।

এ বিষয়ে আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার বলেন, ‘জাতীয় জুনিয়র খেলোয়াড় হিসাবে জারা বহুবার বিদেশের মাটিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। অথচ তাকেই বর্তমান কমিটির রোষের শিকার হতে হলো শুধু আমার মেয়ে বলে।’

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জহিরুল আলম ভূঁইয়া। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি (হায়দার) মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। ওই সময় আমার ছেলের বুকিং টাইম ছিল।’

তিনি যোগ করেন, ‘আমার ছেলে জাওয়াদ মো. ভূঁইয়া আগে থেকেই খেলছিল। জারা ও মোহাম্মদের সঙ্গে আমার দেখাই হয়নি। সিসি ক্যামেরা দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এমন মিথ্যা কথা বলার জন্য আমরা উনার (হায়দার) বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাব।’

বিষয়টি নিয়ে অ্যাডহক কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ কারেন বলেন, ‘হায়দার সাহেব আমাদের বর্তমান সভাপতিকে জানিয়েছেন। তবে ঘটনার যে সময় তিনি বলেছেন, সেই সময়কার সিসি টিভির ফুটেজ দেখেছি। বুকিংটা জারার নামে ছিল না। কোচের নামে ছিল। এমনকি জহির মাঠেও ছিল না। সিসি টিভিতে দেখেছি জারা ও মোহাম্মদ দুই ঘণ্টা খেলেছে। তাই এমন কোনো ঘটনার দৃশ্য সিসি টিভিতে দেখতে পাইনি।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম