৪৩ চার আর ২৪ ছক্কায় ১৫২ বলে অপরাজিত ৪১৯ রানের এ দুর্ধর্ষ ইনিংস খেললেন ভারতের আয়ুশ শিন্ডে। এটি কোনো দলের মোট স্কোর নয়, একজন ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত স্কোর। হ্যারিস শিল্ড টুর্নামেন্টে তার ঝোড়ো ব্যাটিং দিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিলেন আয়ুশ শিন্ডে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ৪৩ চার ২৪ ছক্কায় ১৫২ বলে অপরাজিত ৪১৯ রানের ইনিংস খেলেছেন ভারতের এক ক্রিকেটার। হ্যারিস শিল্ড টুর্নামেন্টে ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৪১৯ দলের কোনো স্কোর নয়, একজন ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত স্কোর। এ ঝোড়ো ব্যাটিং দিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিলেন আয়ুশ শিন্ডে। তিনি এমন বিস্ফোরক ব্যাটিং করে শচীন টেন্ডুলকারের দুর্দান্ত রেকর্ড ভেঙে দিলেন। আয়ুশের স্মরণীয় ইনিংসের ভিত্তিতে তার দল স্কোর বোর্ডে ৬৪৮ রান করে এবং শেষ পর্যন্ত ৪৬৮ রানে ম্যাচটি জিতে নেয়।
জেনারেল এডুকেশন অ্যাকাডেমির হয়ে খেলার সময় আয়ুশ শিন্ডে তার ব্যাটিং দিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। এ টুর্নামেন্টে ১৬ বছর বয়সে শচীন টেন্ডুলকার ও বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে ৬৬৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ করেছিলেন। সেই সময়ে শচীন ৩২৬ রানের একটি শক্তিশালী ইনিংস খেলেছিলেন। আর বিনোদ কাম্বলি ৩৪৯ রান করেছিলেন। দুজনকেই পেছনে ফেলে দিয়েছেন আয়ুশ। ১২ বছর বয়সে সরফরাজ খান নিজেই হ্যারিস শিল্ড টুর্নামেন্টে ৪৩৯ রান করেছিলেন। আয়ুশ তার রেকর্ড ভাঙার থেকে মাত্র ২১ রান দূরে ছিলেন।
শচীন টেন্ডুলকার তার ক্যারিয়ারে অনেক রেকর্ড করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে তার নামে। শচীন এমন কীর্তি করেছেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। শৈশবেই তিনি এটি শুরু করেছিলেন। হ্যারিস শিল্ড টুর্নামেন্টে বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে শচীনের ৬৬৪ রানের জুটি আজও স্মরণীয়। এটি আজও আলোচিত হয়। এ ম্যাচে শচীন যে কাজটি করেছেন তা ভেঙে গেছে।
আয়ুশ শিন্ডে ৪১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু সহজেই শচীনের স্কোর টপকে যান তিনি। শচীন ৩২৬ রান করেছিলেন অপরাজিত। ৩৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন বিনোদ কাম্বলি। এদিন আয়ুশ দুজনকেই টপকে ৪১৯ রান করেন।
এর আগে ২০০৯ সালে ১২ বছর বয়সে সরফরাজ খান ৪৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এর পরে এটি এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। আয়ুশের ইনিংসের জোরে তার দল ৪৫ ওভারে ৬৪৮/৫ এর বিশাল স্কোর করে এবং ৪৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয়। ২০১৩ সালে ১৪ বছর বয়সি পৃথ্বী শ হ্যারিস শিল্ডের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৪৬ রান করার কীর্তি অর্জন করেছিলেন।
এ টুর্নামেন্ট থেকে বেরিয়ে এসে টিম ইন্ডিয়ায় পৌঁছেছিলেন শচীন। সরফরাজ খান ও পৃথ্বী শও এখান থেকেই টিম ইন্ডিয়ার হয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এখন দেখতে হবে আয়ুশ এই তিনজনের পথ অনুসরণ করতে পারছেন কিনা।
হ্যারিস শিল্ড টুর্নামেন্ট হচ্ছে মুম্বাইয়ের বড় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সবার নজর থাকে এ টুর্নামেন্টের দিকে। এখানে খেলা অনেক খেলোয়াড় মুম্বাইয়ের রঞ্জি ট্রফি দলে পৌঁছেছেন। আয়ুশ তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা দিতেও নজর রাখবে। তিনিও ভালো পর্যায়ে ক্রিকেট খেলতে চান। এ ইনিংসের পর তিনি জনসাধারণের নজরে এসেছেন এবং শিগগিরই তাকে মুম্বাইয়ের অনূর্ধ্ব-১৬ বা অনূর্ধ্ব-১৯ দলে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এই টুর্নামেন্টে শচীন যা করতে পারেননি, আয়ুশ তা করলেন। শচীন ৪০০ পেরিয়ে যাননি, কিন্তু আয়ুশ ৪১৯ করেছেন।