সংগৃহীত
জোহানসবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের রীতিমতো কচুকাটা করেছেন ভারতের দুই ব্যাটার স্যাঞ্জু স্যামসন ও তিলক ভার্মা। দু’জনেই পেয়েছেন অপরাজিত সেঞ্চুরির দেখা। গড়েছেন দ্বিতীয় উইকেটে রেকর্ড ২১০ রানের জুটি। এমন দিনে ১৩৫ রানে জয়ে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ব্যাট হাতে প্রোটিয়া বোলারদের তাণ্ডব চালানোর দিনে রেকর্ড বইয়েও তোলপাড় হয়েছে। বেশ কিছু রেকর্ড হয়েছে এ ম্যাচে। ব্যাট হাতে স্কোরবোর্ডে ১ উইকেটে ২৮৩ রান তুলেছে ভারত। যা বিদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে দলটির দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
২+২
এছাড়াও সবশেষ ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনটি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন স্যামসন। অন্যদিকে এই সিরিজে টানা দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন স্যামসন ও তিলক ভার্মা। টি-টোয়েন্টিতে যা ব্যাটারদের জন্য বিরল রেকর্ড। এর আগে এমন কীর্তি আছে কেবল রাইলি রোশো ও ফিল সল্টের।
স্যামসন-তিলকের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে সিরিজ জিতল ভারত
২১০
এদিন ব্যাট হাতে ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন স্যামসন, একই মাইলফলক ছুঁতে তিলক খেলেছেন মাত্র ৪১ বল। যেখানে স্যামসনের সংগ্রহ ৫৬ বলে ৯ ছক্কা ও ৬ চারে ১০৯। অন্যদিকে তিলকের সংগ্রহ ৪৭ বলে ১০ ছক্কা ও ৯ চারে ১২০ রান। পথে দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২১০ রানের জুটি গড়েন দুজন। যা টি–টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ এবং আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
৪
এছাড়া এই সিরিজে ৪টি সেঞ্চুরি হয়েছে। যা টি-টোয়েন্টিতে এক সিরিজে সর্বোচ্চ।
২০০+
এ ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ ছিল ২৮৩। যার সুবাদে এক বর্ষপঞ্জিকায় নবমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে দুশোর বেশি রান করেছে ভারত। যেই রেকর্ড নেই আর কারো।
২
এছাড়া এক ইনিংসে একই দলের দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তিও এবারই প্রথম।
৯২.৩০
ম্যাচ জয়ের হিসেবেও রেকর্ড গড়েছে ভারত। এ বছর ২৪টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ২২টিতেই জিতেছে। শতকরা জয় ৯২.৩০%, যা আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর এক পঞ্জিকাবর্ষে কমপক্ষে ১০ ম্যাচ খেলার নিরিখে সর্বোচ্চ।
১২
বল হাতেও কীর্তি দেখা গেছে এ সিরিজে। ভারতের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এই সিরিজে ১২ উইকেট নিয়েছেন। যা চার বা এর চেয়ে কম ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় টি–টোয়েন্টি সিরিজে যেকোনো বোলারের সর্বোচ্চ।