পাকিস্তানের সাবেক সাদা বলের অধিনায়ক বাবর আজম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটি বিরল রেকর্ড গড়েছেন। তিনিই এখন পাকিস্তানের হয়ে সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জনকারী খেলোয়াড়।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেই বাবর আজম এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।
এটি ছিল বাবর আজমের ১২৪তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এর মধ্যদিয়েই তিনি সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে ছাড়িয়ে যান। শোয়েব মালিক পাকিস্তানের হয়ে ১২৩টি ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
বাবর আজমের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হলেও ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য খুব একটা সুখকর হয়নি। বৃষ্টির কারণে মাত্র সাত ওভারে নেমে আসা এই ম্যাচে ৪ উইকেটে ৯৩ রান তুলে ২৯ রানে জয়লাভ করে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচের শুরুতেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনাররা। জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক এবং ম্যাথিউ শর্ট মিলে প্রথম ওভারেই ১৬ রান যোগ করেন। যদিও ম্যাকগার্ক নাসিম শাহর বলে ৯ রানে আউট হন। তারপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এসে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। ১৯ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল, যাতে ছিল ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার।
শেষ দিকে মার্কাস স্টয়নিসও ৭ বলে ২১ রান করে দলের স্কোর ৯৩/৪-এ পৌঁছাতে সহায়তা করেন। পাকিস্তানের বোলাররা কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও অস্ট্রেলিয়ার দ্রুত রান সংগ্রহে বাধা দিতে পারেননি।
আব্বাস আফ্রিদি সর্বোচ্চ ২টি এবং নাসিম ও রউফ একটি করে উইকেট নিলেও শাহিন আফ্রিদি ছিলেন উইকেটশূন্য।
পাকিস্তানের জবাবটাও ভালো হয়নি। শুরুতে ১২ রান হলেও দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে তারা। জেভিয়ার বার্টলেটের আগ্রাসী বোলিংয়ের সামনে পাকিস্তান মাত্র ২০ রানেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসে সফরকারীরা।
শেষ পর্যন্ত বার্টলেট ১৩ রানে ৩টি এবং ন্যাথান এলিস ৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ইনিংস গুঁড়িয়ে দেন। একমাত্র মোহাম্মদ আব্বাস আফ্রিদিই ২০ রান করে প্রতিরোধ গড়েন। কিন্তু তাতে ৯৪ রানের তাসমান সাগর পাড়ি দিতে পারেনি পাকিস্তান। ৯ উইকেট হারিয়ে থেমে যায় ৬৪ রানে।
আর এই জয়ের মাধ্যমে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান এখন পরবর্তী ম্যাচে নিজেদের সামলে নেওয়ার চেষ্টা করবে।