নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ/সংগৃহীত
লড়াকু স্কোর গড়ার চ্যালেঞ্জ ছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে। কিন্তু কচ্ছপগতিতে এগিয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে বিপদে ফেলেই ফিরলেন তিনি। তার পরপরই সাজঘরের দিকে হেঁটেছেন মাহমুদউল্লাহও। ৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৮৪।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ধীরগতির। যদিও তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে শুরুতেই সাজঘরের পথ ধরেছিলেন ওপেনার তানজিদ। ২২ রানে তাকে ফেরান প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের জয়ের নায়ক স্পিনার গাজানফার।
দ্বিতীয় উইকেটে শান্তকে নিয়ে ৭১ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন সৌম্য সরকার। তবে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। যদিও রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন। কারণ রশিদে বল পিচ করেছিল লেগ স্টাম্প লাইনের বাইরে। রিভিউ না নেওয়ায় দারুণ সেই জুটির পরিসমাপ্তি ঘটে।
শান্ত দেখেশুনে খেলে ৭৫ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন। তবে তাকে সঙ্গ দিতে নেমে ২২ রানের বেশি নিতে পারেননি সহ-অধিনায়ক মিরাজ। রশিদ খানের বলে স্টাম্প উড়ে গেছে তার। তাওহিদ হৃদয়কে ১১ রানে থামিয়েছেন নানগেয়ালিয়া খারোটে।
এদিকে পঞ্চাশ পেরোনোর পর রান তোলার গতি বাড়ানোর অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন শান্ত। আফগান স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান তুলতে বেগ পেতে হয়েছে তার। শেষ পর্যন্ত নানগেয়ালিয়ার বল শূন্যে ভাসিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ হয়েছেন তিনি। ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ১১৯ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৭৬ রান।
একই বোলারের বলে উচ্চাভিলাষী শট খেলে ৯ বলে ৩ রানে থামতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে।
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে ৯২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় ওয়ানডে তাই এখন বাঁচামরার লড়াই।