সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। অথচ, সেই একই দল এখন ধুকছে। ভারতের বিপক্ষে ধবলধোলাই হওয়ার পর সবশেষ ঘরের মাটিতেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও পাত্তা পায়নি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশের দলের সমস্যা ঠিক কোথায়। কমেন্ট্রি বক্সে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখা দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি শন পোলক জানিয়েছেন সেসব।

বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে পোলক বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের কথা বললে, প্রথম ইনিংসে সাদমান যেভাবে আউট হল, প্রথম উইকেটটা বেশ জরুরি ব্যাপার ছিল। মুমিনুল রাবাদার বিপক্ষে সংগ্রাম করল। আমি জানি না তাদের দলের পরিবেশ কেমন, তবে যখন আপনি মাঠে খেলতে নামছেন তখন আপনাকে দায়িত্ব নিতে হবে। হ্যাঁ আমি আমার সেরা শটটা খেলতে পারিনি, তবে চেষ্টা করব যেন পরে আবারও এই ভুলটা না করি – এরকম চিন্তাভাবনা দরকার তাদের।’

হোম কন্ডিশনে বাংলাদেশের অধারাবাহিকতা নিয়েও কথা বলেছেন পোলক। বলেন, ‘আমি সবসময় বাংলাদেশের মাঝে অনেক সামর্থ্য দেখেছি। টেস্টে বর্তমানে লোকে অনেক বেশি ধারাবাহিকতা দেখতে চায়। দারুণ কিছু পারফরম্যান্স রয়েছে তাদের। নিউজিল্যান্ডে তারা ম্যাচ জিতেছে, পাকিস্তানে গিয়ে তারা ম্যাচ জিতেছে। তবে একটি বিষয় তাদের মাঝে নেই, তা হল ধারাবাহিকতা। বিশেষ করে হোম কন্ডিশনে আপনাকে আরও ধারাবাহিক হতে হবে।’

টেস্ট ম্যাচে উইকেট বুঝা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা জানিয়ে পোলক বলেন, ‘আসলে আমি অনেক টেস্ট ম্যাচ খেলেছি দক্ষিণ আফ্রিকাতে। সেখানে খেলা অন্যভাবে এগিয়েছে। তবে এই পিচ দেখে আসলে মনে হয়নি যে এখানে আগে ব্যাট করা যাবে না। সাথে মনে রাখতে হবে এইডেন মার্করাম আগে ব্যাট করতে চেয়েছেন। ফলে আমি এটাকে এভাবে দেখতে চাইনি। উইকেট থেকে হয়ত আরও ভালো কিছু প্রত্যাশা করা হয়েছিল। নতুন বল বাউন্স, টার্ন করেছে অনেক। উইকেট দিয়ে অত বেশি বিচার করতে চাই না আমি। এটা ভালো লক্ষ্মণ নয়। কারণ আপনি সবসময় উইকেটের উপর নির্ভর করতে পারেন না। হ্যাঁ, এখানে আপনি বেশি ম্যাচ খেলেন, দেখতে পারেন। তবে এটির কারণেই সমস্যা এমনটা আমি ভাবতে নারাজ।’ 

বাংলাদেশের একাদশ নির্বাচন নিয়ে পোলক বলেন, ‘আসলে ভেবেছিলাম তারা হয়ত দুই পেসার খেলাবে। তবে তাদের দুজন অফ স্পিনার দারুণ করেছে। তাইজুল ভালো করেছে অনেক। দুর্দান্ত বল করেছে। দারুণ কার্যকরী ছিল সে। হয়ত তারা বাড়তি একজন পেসার খেলাতে পারত। এক পেসার খেলানোটা আসলে বেশ ঝুঁকির ব্যাপার। আমি হয়তবা দুইজন পেসার খেলাতাম।’