বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন অজি অলরাউন্ডার
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পঞ্চমবারের মতো স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হয়েছে ক্যামেরন গ্রিনের। তিন ফরম্যাটেই তিনি অজিদের হয়ে নিয়মিত খেলেন থাকেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকরা বলেছেন, এ চোট নিজে থেকে আর সারবে না। অস্ত্রোপচার ছাড়া এর কোনো বিকল্প নেই। তাই অস্ত্রোপচারই করতে হবে গ্রিনের। তার মেরুদণ্ডের নিচের অংশে চোটের জায়গায় অস্ত্রোপচার করে টাইটেনিয়ামের প্লেট বসানো হবে স্ক্রু দিয়ে।
গ্রিনের মেরুদণ্ডের নিচের অংশে চোটের জায়গায় অস্ত্রোপচার করে টাইটেনিয়ামের প্লেট বসানো হবে স্ক্রু দিয়ে। এর আগে নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি, শেন বন্ডসহ জেমস প্যাটিনসন, জ্যাসন বেহরেনদ্রফের মতো বহু ক্রিকেটারকেই এভাবে স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের চিকিৎসা করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যৎে ফের একবার এ ধরনের চোট তাদের ক্যারিয়ারে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।
হাতে আর দেড় মাসও সময় নেই, এরপরই শুরু হয়ে যাচ্ছে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি। আর তার আগেই বড় দুঃসংবাদ অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। গোটা সিরিজ থেকেই ছিটকে গেলেন দলের এ তারকা অলরাউন্ডার।
এর আগে দুই সিরিজেই ঘরের মাঠে ভারতের কাছে টেস্টে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে এবারে সিরিজ তাদের কাছে ছিল সম্মান রক্ষার। কিন্তু তার আগেই বড় ধাক্কা খেল প্যাট কামিনসের দল।
এর আগে ইংল্যান্ড সিরিজের মাঝপথেই ক্যামেরন গ্রিন ছিটকে গেছিলেন। তার স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। তখনই একটা আশঙ্কা করেছিল অস্ট্রেলিয়া মেডিকেল টিম এবং স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ। যদিও স্ক্যান ও এমআরআই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তারা কয়েকটা দিন অপেক্ষা করছিলেন, চোটের জায়গায় কোনো রকম উন্নতি হয় কিনা দেখার জন্য।
জানা গেছে, এ নিয়ে পঞ্চমবার স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হয়েছে ক্যামেরন গ্রিনের। বয়স অল্প হলেও তিন ফরম্যাটেই তিনি অজিদের হয়ে নিয়মিত খেলেন। এ ছাড়া ২৫ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার খেলেন বিভিন্ন দেশের টি২০ লিগেও। ফলে শরীর আর সায় দিল না তার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিলেন— এই চোট নিজে থেকে আর সারবে না, তাই অস্ত্রোপচারই করতে হবে গ্রিনের।
তাকে আর পাওয়া যাবে না চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও। ক্যামেরন গ্রিনের ছুরি-কাঁচির নিচে পড়া মানেই প্রায় ছয় মাসের জন্য তিনি মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছেন। বর্ডার-গাভাসকার সিরিজের ছাড়াও আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তাকে পাওয়া যাবে না বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে নিজের চোটের চিকিৎসার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন গ্রিনই।