এক সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অসংখ্য অবদান রয়েছে। দেশের ক্রিকেটের কিংবদন্তি তুল্য এই তারকা ক্রিকেটার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিতর্কিত। সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা সরকারের পতনের পর বিপাকে পড়ে যান আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যয়ের নেতাকর্মীরা। সেই তালিকায় আছেন মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানও।
ছাত্রদের আন্দোলনে গুলি করার অভিযোগে মোহাম্মদপুরের একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয় সাকিব আল হাসানকে। যে কারণে তিনি এখন দেশে আসতে সাহস পাচ্ছেন না। হয়তো দেশে এলেই গ্রেফতার হতে পারেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকায় বেশি সমালোচনা হচ্ছে সাকিবকে নিয়ে। ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকার জন্য সম্প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব। তিনি বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশে ফেরার পাশাপাশি ভক্ত-সমর্থকদের সমর্থন চেয়েছেন।
অনেকেই সাকিবকে সমর্থন জানালেও কিছু মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। মিরপুর স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে স্লোগান ও গ্রাফিতি দেখা গেছে। এমনকি কিছু মানুষ সাকিবের ছবিতে জুতাপেটাও করেন।
সাকিবকে নিয়ে মানুষের এমন নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে হতাশ উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেত্রী শ্রাবণ্য তৌহিদা। শনিবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাকিবের ছবিতে জুতাপেটার ঘটনার একটি সংবাদ শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন- আমি যখন বাংলাদেশে এমন ধরনের মানুষদের দেখি, তখন খুবই দুঃখ পাই। আমি তাদের জিজ্ঞেস করতাম, আপনাদের কী এতটুকু বুদ্ধি আছে? সাকিব কি দেশের ক্রিকেটের জন্য কিছুই করেনি?
শ্রাবণ্যর সেই স্ট্যাটাসে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ সাকিবের পক্ষ নিয়েছেন, আবার কেউ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়েছেন।