যাদের পারফরম্যান্সে পাকিস্তানে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ। ২৪ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের পাশাপাশি সিরিজ জয়ের কীর্তিও গড়েছে টাইগাররা। দুর্দান্ত এই সিরিজ জয়ে যারা অবদান রেখেছেন—
সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। তিনি ১৮৩ বলে ১২টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৯৩ রান। মাত্র ৭ রানের জন্য তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেননি।
দলের প্রয়োজনে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মিস্টার ডিপেন্ডেবল আউট হওয়ার আগে ৮ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লম্বা সময় উইকেটে থেকে, ৩৪১ বল খেলে ২২টি চার আর ১টি ছক্কায় করেন ১৯১ রান। মাত্র ৯ রানের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি পাননি। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হন মুশফিক। দ্বিতীয় টেস্টে তিনি খেলেন ৩ ও ২২ রানের অপরাজিত ইনিংস।
এবারের পাকিস্তান সফরে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে বল হাতে ১ উইকেট নিয়েছেন। বোলিংয়ে যেটুকু ঘাটতি ছিল, সেটা পুষিয়ে দিলেন ব্যাট হাতে। খেলেছেন ৬ চারে ১৭৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেছেন ১২৪ বলে ৭৮ রান। বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ২৬ রান হারিয়ে বিপদে পরে যাওয়ার পর দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলতে লিটন দাসের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে গড়েন রেকর্ড ১৬৫ রানের জুটি। দুই টেস্টে ১০ উইকেট আর ১৫৫ রান করে সিরিজ সেরা হন মিরাজ।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। পরপর দুই ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। পরে আরও ৩ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন।
ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বল করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির সাবেক তারকা শোয়েব আখতার। তার ঘরের মাঠেই গতির ঝড় তুলে ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনার জন্ম দেন বাংলাদেশের তরুণ ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা। তিনি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমটার গতিতে বল করেন। গতির ঝড় তুলে দুই টেস্টে শিকার করেন ৬ উইকেট।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৬ রান করেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামারই সুযোগ পাননি। তার আগেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট পতনের পর ধ্বংস্তুূপে দাঁড়িয়ে ২২৮ বল মোকাবেলা করে ১৩টি চার আর ৪টি ছক্কায় খেলেন ১৩৮ রানের ইনিংস। এই ইনিংসের কল্যাণে ২৬২ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এমন পারফরম্যান্সে লিটন পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।