Logo
Logo
×

খেলা

হাসান-নাহিদদের ঝলক, টুপিখোলা অভিনন্দন ডোনাল্ডের

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম

হাসান-নাহিদদের ঝলক, টুপিখোলা অভিনন্দন ডোনাল্ডের

বাংলাদেশের পেস আক্রমণের উন্নতির পেছনে অনেক বড় ভূমিকা অ্যালান ডোনাল্ডের।  দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক পেসার বাংলাদেশের বোলিং কোচ থাকার সময় পেসারদের দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যায়। 

বর্তমান জাতীয় দলের পেসারদের প্রায় সবাই তার সঙ্গে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও এখনো পুরনো শিষ্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন ডোনাল্ড।

তৃতীয়বারের মতো টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানাদের এমন সাফল্যে গর্বিত তাদের সাবেক কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টেই নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদদের ঝলক দেখে ভীষণ সন্তুষ্ট সাবেক এই কোচ। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দলটিকে ১৭২ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। এই ইনিংসে হাসান একাই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। খরচা করেন মাত্র ৪৩ রান।  হাসানের এমন সফলতার দিনে নাহিদ নিয়েছেন চার উইকেট। দ্রুত গতির এই পেসার খরচা করেন ৪৪ রান। 

বাংলাদেশের পেসারদের দশ উইকেট পূরণে অবদান রাখেন তাসকিন আহমেদও। ৪০ রান খরচায় এক উইকেট নেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তাসকিন নেন তিন উইকেট। হাসান উইকেট না নিলেও নাহিদ নেন এক উইকেট। 

আর পেসারদের এমন পারফরম্যান্সে রোমাঞ্চিত সাবেক কোচ ডোনাল্ড গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি এখনো নিয়মিত তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কথা বলি। কাল রাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আমাদের ভালো সময় কেটেছে। এই গ্রুপের মধ্যে যেমন বিশ্বাস আছে যেটা আগে আমি কখনো দেখিনি।

তিনি বলেন, প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাদের ছুটে যাওয়া দেখতে পারা ভীষণ সন্তুষ্টির বিশেষ করে পাকিস্তানের মতন শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। বল করার জন্য পাকিস্তান সবচেয়ে কঠিন জায়গা। রাওয়ালপিন্ডির মতো ভেন্যুতে, যেখানে কিনা ফ্ল্যাট উইকেট হয়। সেখানে পর পর দুই ম্যাচ খেলা। পুরো গ্রুপকে আমার টুপিখোলা অভিনন্দন।

২০২২ সালের মার্চে নিয়োগ পেয়ে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হয়ে ডোনাল্ড যখন আসেন, তখন তার মূল চ্যালেঞ্জ ছিল দলের পেসারদের ভয় দূর করা।  পেসারদের ভুল করার ভীতি থেকে বের করে আনতে চেয়েছিলেন তিনি।

সফল এই কোচ আরও বলেন, আমার একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো ড্রেসিংরুম থেকে ‘ফিয়ার ফ্যাক্টর’ সরিয়ে দেওয়া। ‘ফিয়ার ফ্যাক্টর’ বলতে আমি বুঝি ছেলেরা এখন ভুল করতে কম ভয় পায়। আমি সব সময় জানতাম প্রত্যেকটা ছেলে অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান, সহজাত প্রতিভা আছে তাদের, দুর্দান্ত কবজি আছে। আমার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো তাদের সঙ্গে মানসিকতা নিয়ে কাজ করা। তাদেরকে বোঝানো যে শক্ত মানসিকতা কি এবং কীভাবে ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়।

ডোনাল্ড আরও বলেন, পুরো গ্রুপকে প্রতিনিয়ত এই প্রক্রিয়া মনে করিয়ে দেওয়ার ব্যাপার ছিলো। আমার মনে হয় ধীরে ধীরে, বছর-খানেকের মধ্যেই আমরা ফল পেতে শুরু করলাম। আমি সব সময় তাদের সঙ্গে ছিলাম, ভুল নিয়ে চিন্তিত না হতে বলতাম, তাদের জন্য বড় ব্যাপার ছিলো আমাকে ভরসা করা। একবার যখন ফল মিলল তারা আমাকে ভরসা করতে শুরু করল। আমি ভুল নিয়ে কখনই কথা বলতাম না, সব সময় ইতিবাচকভাবে শক্তিবৃদ্ধি করতে চাইতাম। এখন তাদের ভালো করতে দেখা আমার জন্য দারুণ সন্তুষ্টির।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম