কীর্তি গড়ে সব কৃতিত্ব সতীর্থদের দিলেন হাসান
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় একাই ধসিয়ে দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। নাহিদ রানার সঙ্গে গতির ঝড় তুলে পাকিস্তানকে অলআউট করে দিয়েছেন ১৭২ রানে। ক্যারিয়ারে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা হাসান নাম লিখিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডির অনার্স বোর্ডে। ৪৩ রানে ৫ উইকেট তুলে এই কীর্তি গড়েছেন হাসান। এমন কীর্তি গড়েও সকল কৃতিত্ব সতীর্থদের দিলেন হাসান।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন হাসান। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসকে চমৎকার সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। তার ব্যাটিংয়েই রাওয়ালপিন্ডিতে পথ হারায়নি বাংলাদেশ। শেষ দিনে জয় থেকে মাত্র ১৪৩ রান দূরে বাংলাদেশ। হাতে ১০ উইকেট।
অথচ, প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনে পড়তে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ম্যাচটা টেনে এনে এখন জয়ের পথে বাংলাদেশ। যা নিয়ে হাসান বলেন, ‘আসলে শুরুতে দ্রুত উইকেট চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। তখন আমরা আবার নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চেয়েছি। সবাই নিজেদের ওপর বিশ্বাস ধরে রেখেছিল। আমরা আমাদের সতীর্থদের ওপর বিশ্বাস রাখছিলাম। আমরা জানতাম, যদি লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেটে সেট হয়ে রান তুলতে পারে তাহলে ম্যাচের মোমেন্টাম তারা পরিবর্তন করে দিতে পারবে। এটাই হয়েছিল গতকাল।’
ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের অনুভূতি জানিয়ে হাসান বলেন, ‘আসলে আমার সতীর্থদের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত, যারা প্রতিটি বলের পেছনে অনেক পরিশ্রম করে। পরিকল্পনা আসলে খুবই সিম্পল ছিল। নতুন বল হাতে নিয়ে চেষ্টা করতে হয়েছে লাইন অনুযায়ী বল করে যাওয়া, যেরকমটা অধিনায়ক এবং দল চেয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের পরিকল্পনা মতো বল করে উইকেট তোলার চেষ্টা করে যাওয়া।’
দলে নিজের ভূমিকা নিয়ে হাসান বলেন, ‘আমার ভূমিকার কথা বললে, যখনই কোনো পেসারকে বল দেওয়া হয় তখন পরিকল্পনা থাকে উইকেট নেওয়ার মত বল কীভাবে করা যায়। যত বল করতে পারবে তত সফল হতে পারবে। তাসকিন (আহমেদ) ভাই শুরু করেছিল দিনের প্রথম উইকেট দিয়ে। এরপর (নাহিদ) রানা দুর্দান্ত বল করেছে। হয়তো মোমেন্টামটা আমাদের দিকে শিফট করেছে। এরপর আমাকে বল দেওয়া হল। আমিও আমার প্রসেসে ছিলাম এ জন্যই উইকেটটা পেলাম।’