ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে অনন্য নজির গড়লেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ৩০ রানের নিচে ৮ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে ফিফটি হাঁকালেন মিরাজ। শুধু তাই নয় এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন মিরাজ।
এর আগে ১৯৯৮-৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের মঈন খান আট নম্বরে খেলতে নেমে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোশুয়া ডি সিলভা ও ইংল্যান্ডের চার্লি অ্যাবসোলম এই পরিস্থিতিতে অর্ধশতক হাঁকান।
তবে মঈন খান, জোশুয়া ডি সিলভা ও চার্লি অ্যাবসোলমকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন মিরাজ।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিকদের ২৭৪ রানে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নেমে গতকাল কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।
আজ তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায়। আজ দিনের শুরুতে মাত্র ১৬ রান স্কোর বোর্ডে জমা করতেই বাংলাদেশ হারায় প্রথমসারির ৬ ব্যাটসম্যানের উইকেট। একে একে সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম অনিক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক সৌরভ, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।
দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ে হাল ধরেন লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তাদের এই জুটিতেই বড় বিপদ থেকে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। না হয় ৫০ রানেই অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল।
দলীয় ১৯১ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার আগে ১২৪ বলে ১২টি চার আর এক ছক্কায় করেন ৭৮ রান। মিরাজ আউট হওয়ার ২ রান ব্যবধানে ফেরেন তাসকিন আহমেদ।
১৯৩ রানে ৮ উইকেট পতনের পর পেস বোলার হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস। এই জুটিতেই তিনি ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি আর সবমিলে নবম সেঞ্চুরি হাঁকান।
লিটন ২২৮ বলে ১৩টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ১৩৮ রান করে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন। এরপর আর স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই ফেরেন পেস বোলার নাহিদ রানা। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২৬২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।