পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনার কথা এক দশক ধরেই শোনা যাচ্ছিল। লম্বা সময় চলে গেলেও স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হবে হবে করে কয়েক দফায় পিছিয়েছে।
সরকার পতনের পর আলোচনায় এই স্টেডিয়ামের ভাগ্য। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বৃহস্পতিবার বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বোর্ড সভা শেষে ফারুক বলেছেন, আগামীকাল টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করেছি।
২০৩১ সালে বাংলাদেশে হওয়ার কথা রয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের জন্য ভেন্যু বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে আইসিসিকে। বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই নৌকার আদলে তৈরি করার কথা ছিল শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামকে দ্য বোট নামেও ডাকা হচ্ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরই স্টেডিয়ামটির ভবিষ্যৎ শঙ্কায় পড়ে যায়।
বোর্ড সভাপতি হিসেবে ফারুক আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহের মাথায় স্টেডিয়ামটির টেন্ডার বাতিল করলেন। আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো টেন্ডার জমা দেওয়ার সুযোগ পেতেন। তারিখ শেষ হওয়ার একদিন আগে বিসিবি টেন্ডার প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিলো।
এ প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ বলেছেন, আপনি জানেন যে আমরা এ মুহূর্তে এত বড় প্রজেক্ট, এটা কিন্তু মন্ত্রণালয়ের একটা ব্যাপার থাকে...! সময়ও নেই, আগামীকাল (আজ) দরপত্রের শেষ তারিখ ছিল। সেজন্য আমাদের এটা করতে হয়েছে।’
ফারুক আহমেদ বলেছেন, কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে জানি না। সব মিলিয়ে আগামী শনিবার আমরা এই মাঠ দেখতে যাচ্ছি, চেষ্টা করছি টাকাটা...যতটুকু টাকা খরচ হয়েছে (কনসালটিং ফি হিসেবে), আমরা চেষ্টা করছি (ক্ষতি কমিয়ে আনতে)। পুরোটা তো পরিপূর্ণ হবে না। তারপরও ওখান থেকে যদি কিছুটা রিকভারি করতে পারি। চেষ্টা করবো খেলা চালানোর মতো দুটি মাঠ বানানো যায় কিনা।
ফারুক আহমেদ আরও বলেছেন, আমাদের সব কাজ করতে হবে, কাজ ঠিক রেখেই। যে অসংলগ্নতা, দুর্নীতি, খারাপ কাজ হয়েছে সেগুলো আমরা সরাবো। তার সঙ্গে ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করবো। তাই আমি সব বন্ধ করে একদিকে যেতে পারবো না।