প্যারালিম্পিকে ২ খেলোয়াড়ের বিপরীতে ১৪ কর্মকর্তার বিদেশ সফর
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর দেশের সর্বক্ষেত্রেই লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। দূর করা হচ্ছে সব বৈষম্য। যেই হাওয়া এরই মধ্যে লেগেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। তবে তারই এক ফাঁকে আগামী ২৮ আগস্ট প্যারিসে হতে যাওয়া প্যারালিম্পিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। যেখানে দুজন খেলোয়াড়ের বিপরীতে ১৪ জন কর্মকর্তা বিদেশে যাচ্ছেন। গত ১৮ জুলাই যেই সফরের সরকারি আদেশ (জিও) হয়ে গেছে।
প্যারালিম্পিকে অংশ নেওয়া দুই ক্রীড়াবিদ আল-আমিন হোসেন ও ঝুমা আক্তার দুজনেই খেলবেন আরচারি ইভেন্টে। তাদের সঙ্গে কোচ হিসেবে যাচ্ছেন নিশীথ দাস ও চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম। বাকি ১২ জনই যাচ্ছেন কর্মকর্তা পরিচয়ে।
প্যারালিম্পিক কমিটির মহাসচিব মাকসুদুর রহমান, দলনেতা হিসেবে যাচ্ছেন উপমহাসচিব ফখরুদ্দিন হায়দার। সঙ্গে যাচ্ছেন তার স্ত্রীও। এর বাইরে প্যারালিম্পিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর শেখ আবদুস সালামও যাচ্ছেন সস্ত্রীক। তবে তাদের স্ত্রীরা নিজেদের খরচে যাবেন বলেই উল্লেখ্য আছে জিওতে।
এর বাইরে প্যারিসে যাচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সানাউল হক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, প্যারা আরচারির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহসান উল্লাহর। সফরে দুই ক্রীড়াবিদ, কোচ, চিকিৎসক ও দলনেতার ব্যয়ভার আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটি বহন করলেও বাকিরা যাচ্ছেন বাংলাদেশ প্যারালিম্পিক কমিটির খরচে।
যা নিয়ে গত রোববার প্যারালিম্পিকের মহাসচিব মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে বিক্ষোভ করেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা। যেখানে প্যারা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েও এখনো বিদেশে কোনো বড় টুর্নামেন্ট খেলতে পারিনি। গত জুনে আমাকে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে বিদেশে খেলতে নিয়ে যান মহাসচিব।’ এদিকে সুইমার নাফিউর রহমানের দাবি, ‘গত প্যারা এশিয়ান গেমসে আমার কোনো কোচ ছিল না। মাকসুদুর রহমান তার স্ত্রীকে কোচ বানিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।’