ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরপরই দাবি উঠেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে রদবদল আনার। কেননা, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষস্থানীয় পদগুলো দখল করে আছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেত্রীবৃন্দ। বিশেষ করে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই দায়িত্ব পালন করছেন সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।
এবার সেখানেই পরিবর্তন চান ক্রিকেট প্রেমীরা। মঙ্গলবার পরিবর্তনের দাবি নিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন ক্রিকেট সংগঠকরা। এ সময় বিসিবির নীতি নির্ধারকদের অব্যাহতি ও বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে হাজির হন তারা।
ক্রিকেট সংগঠকদের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এত দিন বিসিবিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এসবের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।
হাসিনার পদত্যাগ, রাজনীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গনের দাবি
এদিন সংগঠকদের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিসিবির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু। এর বাইরে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, প্রাইম দোলেশ্বরের যুগ্ম-সম্পাদক মুশতাক হোসেন, মোহামেডানের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন, বিসিবির সাবেক দুই কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান ও বোরহান উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
এ সময় রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১২ সালের পর আবার বিসিবিতে এসেছি। এসেছিলাম বিসিবির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু তাকে পাইনি। আমাদের দাবি, বিসিবি থেকে অযোগ্য সংগঠকদের সরিয়ে এখানে যোগ্য ক্রিকেট সংগঠকদের নিয়ে আসতে হবে।’
এদিন বিসিবির সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংগঠকেরা সভাকক্ষে যান। সেখানে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার। যা নিয়ে পরবর্তীতে নান্নু বলেন, ‘বিসিবিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হোক।’ অন্যদিকে বাশার বলেন, ‘সুদিনের আশা করছি।’