ছবি: সংগৃহীত
কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সারাদেশ এখন উত্তাল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এরই মধ্যে নিহত ছাড়িয়েছে দেড়শর ঘর। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গন ও বিনোদনকর্মীরা। এবার এই আন্দোলনে সরাসরি মাঠে নামলেন কোচদের কোচখ্যাত নাজমুল আবেদীন ফাহিম। শুক্রবার শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিতে নিজেও রাস্তায় নেমে আসেন তিনি। চলমান এই সংকট সমাধানে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য ও লিটনরা। এর বাইরেও পোস্ট দিয়েছেন অনেকে। জাতীয় দলের ফুটবল অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়েছেন।
তবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার মাশরাফি ও সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে সমর্থন দাবি করা হলেও এখন পর্যন্ত এই ইস্যুতে কোনো কথা বলেননি তারা। যার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। তবে এ ক্ষেত্রে অনন্য নজির স্থাপন করলেন ফাহিম। কেবল সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দেওয়া নয়, নিজেই নেমে আসলেন রাস্তায়।
আন্দোলনে যোগ দেওয়া নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘একটা অহিংস এবং নৈতিক একটা দাবি আমাদের সাধারণ ছাত্রদের। যেটা সহজেই সমাধান করা যেত, সেটাকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হলো, সেটা গ্রহণযোগ্য না। আমরা যত মৃত্যু দেখেছি, যত অত্যাচার দেখেছি ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর, সেটা একটা স্বাধীন দেশে গ্রহণযোগ্য না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমরা এ জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। সে জন্য এখানে আসা, আমি এ আন্দোলনের প্রথম থেকেই ওদের পাশে ছিলাম। আজ মাঠে এসেছি, ওদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমার মনে হয় পাশে এসে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে এবং ওদের পাশে দাঁড়ালে ওদের শক্তি বাড়বে। ওরা হয়তো আরও নিশ্চিন্তবোধ করবে।’
চলমান সংকট সমাধানে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে ফাহিম আরও বলেন, ‘প্রথমে যেটা করা উচিত, তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনভাবে সরকারের কোনো সদিচ্ছা দেখছি না। আর ইমিডিয়েটলি ওদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত। যাদেরকে অকারণে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং অত্যাচারও করা হচ্ছে, যা আমরা কিছু কিছু ভিডিওতে দেখেছি, সেগুলো দ্রুত বন্ধ করা। আমার মনে হয় সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা ভালো সরকারের দিকে যাচ্ছে। আমরা যেন তাদের ওপর নির্ভর করতে পারি। সাধারণ মানুষ তাদের ওপর ভরসা করতে পারে। এটা সরকারকেই প্রমাণ করতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে।’