অ্যান্ডি মারে। ছবি: সংগৃহীত
অলিম্পিক টেনিসে পুরুষদের দ্বৈত ইভেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে আমেরিকার টেলর ফ্রিৎজ এবং টমি পল জুটির কাছে ২-৬, ৪-৬ গেমে হেরে যান গ্রেট ব্রিটেনের অ্যান্ডি মারে ও ড্যান ইভানস জুটি। এই ম্যাচ শেষের পর সামাজিক মাধ্যমে মারে লিখেছেন, ‘টেনিসটা এমনিতে কখনও পছন্দই করিনি।’
কথাটা যে নিছক রসিকতা করে লেখা, সেটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটিশ টেনিসের সবচেয়ে পরিচিত মুখ অ্যান্ডি মারে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন। অলিম্পিক যাত্রা শেষের সঙ্গেই ক্যারিয়ারেরও শেষ তুলির আঁচড় টেনে ফেলেছেন।
বিশ্বের সাবেক এক নম্বর তারকা এবং তিনটি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী মারে বিদায়বেলায় বলেছেন, ‘নিজের ক্যারিয়ার, প্রাপ্তি এবং এই খেলায় যতটুকু অবদান রাখতে পেরেছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত। অবশ্যই এটা আবেগের। কারণ, এটাই (আমার) শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ ছিল। তবে এখন আমি সত্যিই খুশি। যেভাবে শেষ হল, তাতে আমি খুশি।’
লাল দুর্গেও পারলেন না নাদাল, পরের রাউন্ডে জোকোভিচ
নিজের মন মতো বিদায় বলতে পারার তৃপ্তি ফুটে উঠেছে মারের কথায়, ‘এটা ভালো লাগছে যে, নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী অলিম্পিকে খেলে শেষ করতে পেরেছি। কারণ (চোটের কারণে) গত কয়েক বছর ধরে খেলা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা ছিল না।’
প্যারিস অলিম্পিক দিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন, এমন ঘোষণা দিয়েই রেখেছিলেন মারে। বিদায়বেলায় একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী মারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সার্বিয়ান কিংবদন্তি ও পুরুষদের টেনিসে সর্বোচ্চ ২৪ গ্র্যান্ড স্লামজয়ী নোভক জোকোভিচ, ‘টেনিসে সেরা যোদ্ধাদের মধ্যে মারে একজন। আমি নিশ্চিত, ওর লড়াই করার মানসিকতা অনেক প্রজন্মকেই প্রেরণা জোগাবে।’
২০১৩ সালে উইম্বলডনে এই জোকোভিচকে হারিয়েই গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন মারে। এর আগের বছর জিতেছিলেন ইউএস ওপেন। ২০১৬ সালে আবারও নিজের আঙিনায় উঁচিয়ে ধরেন উইম্বলডন শিরোপা। অলিম্পিকেও ঘরের কোর্টে উজ্জ্বল ছিলেন মারে, ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে রজার ফেদেরারকে হারিয়ে জয় করেন স্বর্ণপদক। চার বছর পর রিও অলিম্পিকেও সোনা জয় করেন তিনি। আর্জেন্টিনার হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোকে হারিয়ে ছেলে ও মেয়েদের ইভেন্ট মিলিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিকের টেনিস এককে দুটি সোনা জয়ের কীর্তি গড়েন মারে।