গর্ভে ৭ মাসের সন্তান নিয়ে অলিম্পিকে মিশরের অ্যাথলেট
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
অলিম্পিক ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। যাকে কেন্দ্র করে বছরব্যাপী কঠোর অনুশীলনে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন একজন অ্যাথলেট। স্বপ্ন দেখেন বিশ্বমঞ্চে নিজ দেশের পতাকাকে গৌরবান্বিত করার। যেই স্বপ্নে বিভোর হয়ে একজন অ্যাথলেট ভুলে যান সব প্রতিবন্ধকতার কথা। এই যেমন মিশরের ফেন্সার নাডা হাফেজের কথাই ধরা যাক— গর্ভে সাত মাসের সন্তান ধারণ করে অলিম্পিকে লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন তিনি। গড়েছেন অলিম্পিকের ইতিহাসে লড়াইয়ের বিরল এক দৃষ্টান্ত।
অবশ্য তার সেই লড়াই থেমেছে দ্বিতীয় ম্যাচেই। ফেন্সার বা তলোয়ার যুদ্ধে প্রথম ম্যাচে দারুণ জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পেরে উঠেননি তিনি। হেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন নাডা। তবে তার আগেই গর্ভে সাত মাসের সন্তান ধারণ কারার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়ে লড়াইয়ের এক ইতিহাস লিখেছেন তিনি। যা সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন নাডা।
এর আগে ২০১৬ ও ২০২০ অলিম্পিকে অংশ নিয়ে এবার প্যারিসে পা রাখেন নাডা। র্যাংকিংয়ে ৪১ নম্বরে অবস্থান করলেও প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে দেন সাত নম্বর থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তারতাকোভস্কিকে। যদিও তার সেই স্বপ্নের যাত্রা থেমেছে পরের ম্যাচেই। শেষ ষোলোতে কোরিয়ার জন হাইয়ংয়ের কাছে হেরে অলিম্পিক অধ্যায় শেষ হয় তার।
অথচ প্রথম ম্যাচ জয়ের পর শেষ ষোলোতে উঠে দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন নাডা, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন— পোডিয়ামে আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখলেও আসলে ছিল তিনজন। আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ও পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় থাকা আমার ছোট্ট বাচ্চা। শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিতে পেরে নিজের দারুণ গর্বের কথা জানাতে পোস্ট লিখছি। এবারের অলিম্পিক আমার জন্য আলাদা। আমি তিনবারের অলিম্পিয়ান, কিন্তু এবার বয়ে নিয়েছি ছোট্ট এক অলিম্পিয়ানকেও!’
নাডা আরও লিখেছেন— ‘আমার বাচ্চাকে নিয়েও আমার বেশ চ্যালেঞ্জ পার হতে হয়েছে, শারীরিক ও মানসিক— দুটোই। তবে মিশরের নারী হিসেবে আমাদের শক্তি ও অধ্যবসায় তুলে ধরতে চেয়েছি আমি। গর্ভাবস্থার এই চড়াই-উতরাইয়ের ভ্রমণ নারীদের জন্য এমনিতেই অনেক কঠিন। তবে জীবন ও খেলাধুলার মধ্যে এই সমন্বয়ের লড়াইটি কোনোমতেই তীব্র ও তেজদীপ্ত কিছুর চেয়ে কম নয়। তবে সবটুকুই উপভোগ্য ও উপযুক্ত। আমি সৌভাগ্যবান, আমার সঙ্গী (স্বামী ইব্রাহিম ইহাব) ও পরিবারের বিশ্বাস পেয়েছি বলে এতদূর আসতে পেরেছি।’