জেং জিইং। ছবি: সংগৃহীত
স্বপ্ন দেখার কোনো বয়স নেই। যেকোনো বয়সেই আপনি স্বপ্ন দেখতে পারেন এবং সেই স্বপ্ন পূরণের সাধনা শুরু করতে পারেন। এই কথার বড় উদাহরণ হিসেবে প্যারিস অলিম্পিকে হাজির হলেন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় জেং জিইং।
তার স্বপ্ন ছিল জীবনে একবার হলেও অলিম্পিকে খেলবেন। এবারের অলিম্পিকে তার সে স্বপ্নপূরণ হয়েছে। টেবিল টেনিসের নারী এককে বাছাইপর্বে তিনি লেবাননের মারিয়ানা সাহাকিয়ানের কাছে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছেন। ম্যাচ শেষে তবু তার মুখে হাসি ছিল। এই হাসি জয়ের নয়, স্বপ্নপূরণের।
জানা গেছে, চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজুতে জন্ম হয় জেং জিইংয়ের। শৈশব থেকে টেবিল টেনিসে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখা জেং ১৬ বছর বয়সে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।
অলিম্পিকে বিয়ের আংটি খুইয়ে ক্ষমা চাইলেন অ্যাথলেট
জন্মসূত্রে চীনের নাগরিক জেং ১৯৮৬ সালে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে গিয়ে স্থায়ী হন। মাত্র ২০ বছর বয়সেই খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে চিলিতে স্কুলের বাচ্চাদের কোচিং করিয়েছেন।
১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে টেবিল টেনিস অন্তর্ভুক্ত হয়। আর জেংয়ের ফিরে আসার গল্প করোনা মহামারির সময় শুরু। কঠোর অনুশীলনে আর অধ্যবসায়ের পুরস্কারস্বরূপ প্যারিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে নিজের ফিরে আসার গল্পের পূর্ণতা দেন তিনি।
বাছাইপর্বে জিততে না পারলেও গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সমর্থনে কিছুটা আবেগী হয়ে পড়েন জেং। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘৩০ বছর পর আমি আবারও টেবিল টেনিসে ফিরেছি। এই বয়সে অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় আমি নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স