বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের পরাজয়ের রহস্য ফাঁস করলেন কাইফ
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
গত বছরের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের পর হতাশায় ভেঙ্গে পড়েন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ছবি-ক্রিকইনফো
গত বছরের নভেম্বরে ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ভারতে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করে অপরাজিত দল হিসেবেই ফাইনালে চলে যায় রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত।
১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে শিরোপা জয় নিশ্চিত ধরে নিয়েই সব রকম প্রস্তুতি নেয় স্বাগতিক ভারত। কিন্তু টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বে যে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে উল্লাস করেছিল বিরাট কোহলিরা, সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেলে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে একের পর এক দাপুটে জয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে যাওয়া ভারত ধরেই নিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত। শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ফাইনাল ম্যাচে সব কৌশল অবলম্বন করে ভারত। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকে বিপদে ফেলতে নিজেদের পছন্দ মতো উইকেট তৈরি করে ভারত। কিন্তু সব কৌশল বুমেরাং হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়াকে বিপদে ফেলতে গিয়ে ভারত নিজেই বিপদে পড়ে যায়।
ভারতকে গুঁড়িয়ে বিশ্বকাপে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া
সেই রহস্য ফাঁস করেছেন ভারতীয় সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ। তিনি বলেছেন, ‘আমি ফাইনাল ম্যাচের আগে আহমেদাবাদে তিনদিন ধরে ছিলাম। প্রত্যেক দিনই দেখতাম ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা আর প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় পিচের সামনে গিয়ে ঘণ্টাখানেক সময় কাটাত। তিনদিন ধরে পিচের রং বদলাতে দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত চেয়েছিল যাতে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইনআপ স্লো ট্র্যাক পায়। পিচে ঘাসও ছিল না, পানিও তেমন দেওয়া হয়নি। স্টার্ক-কামিনসদের আকটাতে স্লো ট্র্যাক তৈরি করাটাই আমাদের সব থেকে বড় ভুল ছিল। মানুষ বিশ্বাস করতে না চাইলেও এটাই সত্যি। অনেকে বলে কিউরেটর নিজেদের মতো কাজ করে, তাদের কেউ প্রভাবিত করে না, কিন্তু সেটা একদমই ভুল কথা।’
কাইফের এমন মন্তব্য নিয়ে ভারতীয় দলের সেই সময়কার ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠো বলেছেন, আসলে বিশ্বকাপ জিততে হলে ভাগ্য লাগে। অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য ফেবারে ছিল বলেই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক শুনেছি যে ওখানে পিচ আলাদা ছিল, কিন্তু আমি এই বিষয় একমত নই। এরকম উইকেটে আমরা আগেও খেলেছি। কিন্তু আহমেদাবাদের উইকেটে ব্যাট করা শুরুতে কিছুটা কঠিন ছিল, পরের দিকে সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ভাগ্যও লাগে। অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য ফেবার করেছে বলেই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’