লিওনেল মেসি ও লামিন ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত
বার্সেলোনার হয়ে অভিষেকের পর থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন লামিন ইয়ামাল। এবারের ইউরো দিয়ে স্পেন দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফুটবলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইউরোর মধ্যেই বার্সেলোনার কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসির সঙ্গে তার শৈশবের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন ইয়ামালের বাবা। তারপর থেকেই ফুটবল দুনিয়ার আকর্ষণের কেন্দ্রবুন্দিতে চলে আসে সে ছবি।
২০০৭ সালে তোলা ছবিগুলো এত বছর পর সামনে আসার নেপথ্যের গল্প নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের কৌতূহল ছিল। সে কৌতূহলের জবাব দিয়েছেন ইয়ামাল নিজেই, ‘আমার বাবা ছবিগুলো সংগ্রহে রেখেছিল। যা কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। কারণ হচ্ছে, কখনও চাইনি মেসির সঙ্গে আমার তুলনা হোক।’
মেসির সঙ্গে তুলনা হলেও বিষয়টি নিয়ে বেশি খুশি হওয়ার চেয়ে ইয়ামাল বরং সতর্ক, ‘ফুটবলের সব সময়ের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনায় কেউ বিরক্ত হবে না। কিন্তু এটা এমন একটা বিষয় যেটা নিজের বিপক্ষেই চলে যেতে পারে। কারণ কখনও তার মতো হওয়া সম্ভব নয়।’
কোপা ফাইনালে মেসিদের দেখতে খরচ ৭৮ লাখ টাকা!
তবে ইয়ামাল না চাইলেও সেই তুলনাটা হচ্ছেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্সেলোনায় মেসির উত্তরসূরি ভাবা হচ্ছে তাকে। ২০২৩ সালে ১৫ বছর বয়সে বার্সায় অভিষেকের পর গত মৌসুমে ৫০টি ম্যাচ খেলেছেন।
সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন স্পেন জাতীয় দলেও। চলতি ইউরোর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ইউরোর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এবং গোল বানিয়ে দেওয়ার রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
উল্লেখ্য, মেসির সঙ্গে ইয়ামালের শৈশবের সে ছবিগুলো ছিল মূলত চ্যারিটি ক্যালেন্ডারের। তখন ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ছবি তোলার কাজটি হাতে নেয় কাতালান পত্রিকা দিয়ারিও স্পোর্ট।