সতীর্থের ক্যানসার চিকিৎসায় পেনশনের টাকা দিয়ে দেওয়ার ঘোষণা কপিল দেবের
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের জার্সিতে ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে মোট ৫৫টি ম্যাচ খেলেছেন অংশুমান গায়কোয়াড়। ভারতকে জেতাতে লড়েছেন নিজের সবটুকু দিয়ে। গর্বিত করেছেন দেশকে। আর সেই তিনি এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। ক্যানসারে আক্রান্ত অংশুমানের চিকিৎসা ব্যয় সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার পরিবারকেও।
বিষয়টি নজরে আসতেই সাবেক সতীর্থের জন্য আবেগপ্রবণ হয়েছেন কপিল দেব। সাবেক এই ওপেনারের চিকিৎসায় অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। নিজের পেনশনের সব টাকা অংশুমানের চিকিৎসায় ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন কপিল। সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকেও।
গত এক বছর ধরেই ব্লাড ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন অংশুমান। বর্তমানে লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। সেখানে অংশুমানকে দেখতে গিয়ে তার চিকিৎসা নিয়ে দৈনিক মিড-ডেতে একটি কলাম লেখেন তার সাবেক সতীর্থ সন্দীপ পাতিল। যা নজরে আসার পরই এমন ঘোষণা দিয়েছেন কপিল।
ভারতের হয়ে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত খেলা অংশুমান কপিল দেবের সঙ্গে খেলেছেন মোট ৩৪টি ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই তাই সতীর্থদের জন্য মন কেঁদে উঠেছে কপিলের। যেই জন্য সতীর্থের চিকিৎসার ব্যয়ভার নেওয়ার আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন তিনি। ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্টস্টারকে কপিল বলেছেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ও হতাশাজনক। অংশুর অসুস্থতার খবরে ব্যথিত। কারণ, আমি তার সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। তাকে এই অবস্থায় দেখার ব্যাপারটি সহ্য করতে পারছি না। আমরা তার চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রস্তুত। পরিবার চাইলে পেনশনের টাকা দিয়ে দিতে পারি।’
অংশুমানের জীবন বাঁচাতে বিসিসিআইসহ অন্যরাও এগিয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন কপিল, ‘আমরা কাউকে বাধ্য করছি না। অংশুর জন্য যেকোনো সাহায্য আপনার হৃদয় থেকে আসতে হবে। সে কয়েকজন ভয়ংকর ফাস্ট বোলারকে সামলাতে গিয়ে মুখে ও বুকে আঘাত পেয়েছিল। এখন আমাদের সময় এসেছে তার পাশে দাঁড়ানোর। আমি নিশ্চিত, আমাদের ক্রিকেট ভক্তরা তাকে হতাশ করবে না। তার সুস্থতার জন্য সবার প্রার্থনা করা উচিত।’
সাবেক ক্রিকেটারদের জন্য বিসিসিআইয়ের কল্যাণ তহবিল না থাকা নিয়েও আক্ষেপ আছে কপিলের। যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের জন্য কোথায় টাকা পাঠাবে? যদি একটা ট্রাস্ট গঠন করা হয়, তাহলে সেখানে টাকা রাখা যেত। কিন্তু আমাদের সেই ব্যবস্থা নেই। আমাদের একটি ট্রাস্ট গড়ে তোলা উচিত। আমার মনে হয় বিসিসিআই সেটা করবে।’