ছবি সংগৃহীত
ক্রিকেট মাঠ ও মাটির প্রস্তুতিতে বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ কিউরেটর হিসেবে গত বছরের জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার টনি হেমিংকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। মিরপুর, সিলেট, চট্টগ্রামের পাশাপাশি বরিশালেও উইকেট নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। তবে দুই বছর মেয়াদি চুক্তির এক বছর না যেতেই সরে দাঁড়িয়েছেন হেমিং। বুধবার হেমিংয়ের পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছে বিসিবি।
বিসিবির মেগা প্রজেক্ট পূর্বাচলের শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নির্মাণের জন্য মূলত হেমিংকে এনেছিল বিসিবি। কিন্তু ব্যয়ের পর ব্যয় বাড়লেও এই ভেন্যুর উল্লেখযোগ্য কোনো অবকাঠামোই এখনো তৈরি হয়নি। এরমধ্যে হেমিংয়ের মতো অভিজ্ঞ কিউরেটরের সরে দাঁড়ানো বিসিবির জন্য বড় ধাক্কা।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘টনি হেমিং বিসিবির জন্য অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ ছিলেন। তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেট অবকাঠামোয় অনেক উন্নতি এনেছে। তার কাজের ধরন বাংলাদেশের মাঠ প্রস্তুতিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখবে।’
চুক্তির মাঝপথে হেমিং কেন সরে দাঁড়ালেন তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বিসিবি। তবে গুঞ্জন রয়েছে, বোর্ডের গ্রাউন্ডস বিভাগের এক কর্মকর্তার সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হেমিং।
বাংলাদেশে আসার আগে অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ওয়াকার ক্রিকেট মাটি বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন হেমিং। এর আগে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমির ও দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটরের হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল তার। ওয়াকার পাশাপাশি পার্থের নতুন স্টেডিয়াম অপ্টাস স্টেডিয়ামের অ্যারেনা ম্যানেজারের ভূমিকায়ও কাজ করেছেন তিনি।