লামিন ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত
‘চুপচাপ এগিয়ে চলো। শুধু চেকমেট হওয়ার সময় কথা বলো’-ইউরো কাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে মাঠে নামার আগে ইনস্টাগ্রামে কথাটা লিখেছিলেন লামিন ইয়ামাল। ম্যাচের আগে ফ্রান্স মিডফিল্ডার আদ্রিয়েন রাবিওত বলেছিলেন, ফ্রান্সকে হারাতে হলে ইয়ামালকে আরও ‘বেশি কিছু’ করতে হবে। সে কথার জবাবেই হয়ত ইনস্টাগ্রামে উপরের কথাটা পোস্ট করেছিলেন ১৬ বছর বয়সি স্প্যানিশ তারকা।
তবে শুধু ইনস্টাগ্রামে লেখা দুই বাক্যেই নয়, খেলার মাঠেও জবাবটা নিজের মতো করে দিয়েছেন ইয়ামাল। সেই রাবিওতকে নাচিয়েই ২৫ গজ দূর থেকে ফ্রান্সের জাল বল পাঠিয়েছেন। তার গোলেই ঘুরে গেছে ম্যাচ। এরপর জুলস কুন্দের আত্মঘাতী গোলে ফরাসিদের টপকে ফাইনালের টিকিট কাটে স্পেন।
বার্সেলোনার কিংবদন্তিদের আঁতুড়ঘর লা মাসিয়ার রত্ন ইয়ামাল। বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিওনেল মেসির সঙ্গে ইয়ামালের ছোটবেলার কিছু ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। মেসি যখন লা মাসিয়া থেকে সদ্য বার্সেলোনার মূল দলে জায়গা পাকা করছেন, তখন ক্লাবের একটি ক্যালেন্ডারের ফটোশুটে ছয় মাস বয়সি ইয়ামালের সঙ্গে দেখা হয় মেসির।
সেই ইয়ামালই এখন বল পায়ে কারিকুরিতে মেসিকে মনে করাচ্ছেন। ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সে মাঠে নামা, গোল আর অ্যাসিস্টের কীর্তি গড়েছেন ইয়ামাল। মেসির মতো রেকর্ডের ফুলঝুরি সাজাচ্ছেন কিশোর বয়সেই।
ইউরোয় ১৬ বছরের ইয়ামালের চার রেকর্ড
এরই মধ্যে বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে নজর কেড়েছেন ১৬ বছরের উইঙ্গার ইয়ামাল। স্পেনের অনূর্ধ্ব ১৫, ১৬, ১৭, ১৯ সব দলের হয়ে খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়েও খেলে ফেললেন ১৩টি ম্যাচ।
স্পেনের মাটারা প্রদেশে এক উদ্বাস্তু পরিবারে জন্ম ইয়ামালের। তার বাবা মরক্কোর মানুষ। মা আফ্রিকার ছোট্ট দেশ নিরক্ষীয় গিনির। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন ইয়ামাল।
২০১৪ সাল থেকে বার্সেলোনায় স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে ইয়ামালের পরিবার। তখন তাকে ৭ বছর বয়সে ভর্তি করানো হয় বার্সেলোনার ফুটবল অ্যাকাডেমিতে। স্পেনের প্রতিটি বয়সভিত্তিক দলের হয়ে প্রতিভার পরিচয় দেওয়া ইয়ামালকে ছোট বয়সেই জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল মরক্কোর ফুটবল সংস্থা। তবে ইয়ামাল বেছে নিয়েছেন নিজের জন্মভূমিকে।