লামিন ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত
চলতি ইউরোয় প্রথাগত ‘বড়’ দলগুলোর মধ্যে সেরা ফুটবল খেলছে স্পেন। দুর্দান্ত প্রতাপে পারফর্ম করে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে তারা। তারুণ্যে ঠাঁসা এই স্পেন দলে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন ক্লাব পর্যায়ে বার্সেলোনায় খেলা ১৬ বছরের কিশোর লামিন ইয়ামাল।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ছয় মাস বয়সি লামিন ইয়ামালকে কোলে নিয়েছেন বার্সেলোনার কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসি। সেই লামিন ইয়ামালই এখন বার্সেলোনা ও স্পেনের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন।
চলতি ইউরো দিয়ে প্রথমবারের মতো স্পেনের হয়ে সিনিয়র পর্যায়ের কোনো টুর্নামেন্টে মাঠে নেমেছেন ইয়ামাল। আর মাঠে নামার পর থেকেই একের পর এক কীর্তি গড়ছেন।
এবারের ইউরোতে তার গড়া রেকর্ডগুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্ট করেছেন ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো। সেখানে তিনি লিখেছেন, ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সি ফুটবলারের রেকর্ড এখন ইয়ামালের দখলে।
ফ্রান্সকে বিদায় করে ইউরোর ফাইনালে স্পেন
এছাড়াও ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সে গোল করানোর রেকর্ডেও এখন ইয়ামালের নাম। আর ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সি ফুটবলার হিসেবে গোল করার কীর্তিও গড়েছেন এই স্প্যানিশ কিশোর।
সেমিফাইনালে ফ্রান্স যখন রান্দাল কোলো মুয়ানির দেওয়া গোলে ম্যাচে এগিয়ে ঠিক তখনই প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইয়ামাল। এই গোলের মাধ্যমেই সবচেয়ে কমবয়সি ফুটবলার হিসেবে ইউরোয় গোলের কীর্তি গড়েন তিনি। এই গোলের মাধ্যমে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন ইয়ামাল, এর ফলে ইউরো ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে ম্যাচসেরা হওয়ার রেকর্ডটাও তার হয়ে গেছে।
তার এই গোলেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ছন্দময় ফুটবল খেলতে থাকা দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স এই গোলেই মোমেন্টাম হারায়। অন্যদিকে এই গোলের চার মিনিটের মাথায় আরেক গোলে ফরাসিদের টপকে ফাইনালে জায়গা করে নেয় স্পেন।
শুধু আন্তর্জাতিক ফুটবলেই নয়, ক্লাব পর্যায়েও সবচেয়ে কমবয়সি ফুটবলার হিসেবে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন ইয়ামাল। যেমন বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে লা লিগায় অ্যাসিস্ট, সবচেয়ে কম বয়সে লা লিগায় গোল, সবচেয়ে কম বয়সে লা লিগায় ম্যাচে জোড়া গোল সহ অসংখ্য কীর্তিতে বর্ণিল এই তরুণ ফুটবলারের ক্যারিয়ার।