ছবি: সংগৃহীত
সমরেশ মজুমদার তার ‘সাতকাহন’ উপন্যাসে কেন্দ্রীয় চরিত্র দীপাবলীর জীবনের উত্থানের গল্প বললেও ব্রাজিলের ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক তার উল্টো। সর্বনাশা ‘সাত’ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ব্রাজিলের। সবশেষ কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের সর্বনাশ হওয়ার সঙ্গেও অদ্ভূতভাবে জড়িয়ে সাত। কীভাবে? চলুন সেই হিসেব মেলাই।
উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের ম্যাচটি ছিল বছরের সপ্তম মাসের ৭ তারিখ। অর্থাৎ ৭ জুলাই। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের সেরা ফুটবলার সাত নম্বার জার্সি পরিহিত ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র খেলতে পারেননি হলুদ কার্ড নিষেধাজ্ঞায়। শুধু তাই নয় ম্যাচটিও শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। আর ম্যাচের ফল, সাতে আটকা ব্রাজিল। টাইব্রেকারে হার ৪-২ গোলে।
শুধু এবারই প্রথম এমন কাকতালীয় ঘটানার সাক্ষী হয়েছে ব্রাজিল এমনটিও নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে হারের পর থেকেই এই ‘সাত’ এর শুরু। এর পর থেকেই ব্রাজিলের ফুটবল দল মাঠে নামা মানেই তাদের টিপ্পনি কেটে বলা ‘সেভেন আপ’।
এই সাত তত্ত্বের পুনরাবৃত্তি ঘটে ফের ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে। সেবারও সেভেন ট্র্যাজেডিতে ফাঁসে ব্রাজিল। সেই বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারে ব্রাজিল। সেই ম্যাচটিও কাকতালীয়ভাবে হয়েছিল ৭ জুলাই। যেখানে ব্রাজিলের পরিণতি ঠিক একই। অর্থাৎ সর্বনাশা সাত কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ব্রাজিলের।