সাকিব আল হাসান ও সিকান্দার রাজা। ছবি: সিকান্দার রাজা
শচীন টেন্ডুলকার অনেক টাকার অফার পেয়েও মদ বা গুটখা জাতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন করেননি। গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, এখন ক্রিকেটারদের অর্থ উপার্জনের জন্য পান মশলার বিজ্ঞাপন করতে দেখে খারাপ লাগে।
এসব ক্ষেত্রে সবার চেয়ে আলাদা দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। মদের বিজ্ঞাপনের লোগো সম্বলিত জাতীয় দলের জার্সি তিনি পড়েননি। এজন্য তাকে অনেক টাকাও দিতে হয়েছিল।
ইংল্যান্ড দলের বর্তমান তারকা মঈন আলী, আদিল রশিদ এবং অস্ট্রেলিয়ান তারকা উসমান খাজা, বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমানও আইপিএল এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জার্সি থেকে মাদক বা জুয়া কোম্পানির লোগো উড়িয়ে দিতে দ্বিধা করেন না।
আবার ব্যতিক্রমী উদাহরণও রয়েছে। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে যেমন বেশ কয়েকবার জুয়ার কোম্পানির প্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
হাশিম আমলা, মঈন আলী, উসমান খাজা ও মোস্তাফিজদের মতো উদাহরণ তৈরি করলেন জিম্বাবুয়ের বর্তমান অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার জার্সির সামনে কোনো স্পন্সরে নাম নেই। কারণ দলটির বর্তমান স্পন্সর একটি বেটিং কোম্পানি। কিন্তু নিজের নীতিগত অবস্থানে অটল থেকে জার্সির মূল স্পন্সরের নাম ছেঁটে ফেলতে একটুও দ্বিধান্বিত হননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
প্রসঙ্গত, ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন সিকান্দার রাজা। ম্যাচে টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে ১৩ রানে হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হন রাজা। ব্যাট হাতে ১৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলার পাশাপাশি ৪ ওভার বল করে ২৫ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৩ উইকেট।