পরিবার নিয়ে মাঠে এসেও তুরস্ককে জেতাতে পারলেন না এরদোগান
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১৬ বছর পর ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছিল তুরস্ক। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় দুঃসংবাদটা পায় তুরস্ক। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে জোড় গোল করা মেরি ডেমিরালকে বিতর্কিত স্যালুটের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় উয়েফা। যেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য উয়েফার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন খোদ তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাস।
যদিও শেষ পর্যন্ত ডেমিরালকে ছাড়ায় মাঠে নামতে হয়েছে তুরস্ককে। হারতে হয়েছে ম্যাচটাও। আর এমন ম্যাচে পরিবার নিয়ে মাঠে এসে দলকে সমর্থন দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। যদিও শেষ পর্যন্ত ডাচদের বিপক্ষে নিজেদের ভুলে ২-১ গোলে হারতে হয়েছে তুরস্ককে। বিদায় নিতে হয়েছে ইউরো থেকে।
এই ম্যাচের আগে ডেমিরালের নিষিদ্ধ হওয়া তুরস্ক-জার্মানির কূটতৈকি লড়াইয়ে যোগ করেছিল ভিন্ন মাত্রা। এদিন বার্লিনের অলিম্পিয়াস্তাদিওনের গ্যালারিতে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগানের সঙ্গে উপস্থিত হয়ে ছিলেন ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোগান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী ওসমান আসকিন বাক, তুর্কির রাষ্ট্রদূত আহমেত বাসার সেন, তুর্কি ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মেহমেত বুয়ুকেকসি এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আগমনে গ্যালারির দখলেও ছিল তুরস্কের দাপট। ম্যাচে ডাচরা বল পাওয়া মাত্রই গ্যালারি থেকে দুয়ো ধ্বনি তুলেছেন তুরস্কের সমর্থকেরা। গ্যালারির এক-তৃতীয়াংশ নিজেদের দখলে নিয়ে ডাচদের বেশ চাপে ফেলছিল তুর্কি সমর্থকরা। দর্শক সমর্থন কাজে লাগিয়ে প্রথমার্ধে দারুণ ফুটবল খেলে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল তুরস্ক। সামেত আকায়েদিন দারুণ হেডে এগিয়ে নেন তুরস্ককে। গোল উদযাপনে সামিল হতে দেখা গেছে গ্যালারিতে আসা এরদোগানকেও।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ডাচরা পাল্টে দেয় পাশার দান। ৭০ মিনিটে মেম্ফিস ডিপাই কর্নার থেকে ওয়ান-টু খেলে বক্সে ক্রস ফেলেন। সম্পূর্ণ আনমার্কড থেকে হেডে গোল করেন ডাচ সেন্টার-ব্যাক স্তেফান দে ফ্রাই। তবে এরপরও ম্যাচে ছিল তুরস্ক।
যদিও শেষ পর্যন্ত নিজেদের ভুলেই ম্যাচটা হাতছাড়া করেছে তারা। ৭৬ মিনিটে ডেনজেল ডামফ্রিজ ডান প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ডাচ তারকা কোডি গাকপোর কাছ থেকে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে ফেলেন মের্ত মুলডুর। চলতি ইউরোয় যা ১০ম আত্মঘাতী গোল। আর সেই গোলেই শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হয় তুরস্কের বিদায়