সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। গত ২৯ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া।
এর আগে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছিল ভারত। ১৭ বছর পর দ্বিতীয়বার ট্রফি জিতল রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা।
বিশ্বকাপজয়ী দলকে সংবর্ধনা দেবে ভারত সরকার। আগামীকাল বিধানসভায় সংবর্ধিত হবেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়ারা।
শিবসেনা বিধায়ক প্রতাপ সারনাইক মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে স্পিকার রাহুল নারওয়েকর জানান, কাল বিধান ভবনে এই সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান হবে। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে।
আজ সকালে দিল্লি পৌঁছায় ভারতীয় ক্রিকেট দল। বেলা ১২টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় দলের সাক্ষাতের কথা ছিল। মোদির সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটাররা দেখা করতে যান বিশেষ জার্সি পরে। পুরো দলের সঙ্গে বসে বেশ কিছু সময় আলাপচারিতায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনই ভারতীয় দলের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান মোদি।
মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে আপ্লুত বিশ্বকাপজয়ী তারকারা
চেয়ারে বসে খোশ মেজাজে ভারতীয় দলের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মোদিকে। কখনও জসপ্রীত বুমরাহ, রবীন্দ্র জাদেজার উদ্দেশ্যে কিছু বলেছেন। কখনও যুজবেন্দ্র চাহালের উদ্দেশ্যে কিছু বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, যাতে দুজনকে হাসতে দেখা গেছে।
রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়, জসপ্রীত বুমরাহ, বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ডিয়ারা মাইক হাতে কিছু বলেছেন। সূর্যকুমার যাদবকেও কিছু বলতে দেখা যায়। তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির এক পাশে ছিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়, অন্য পাশে ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
সূত্রের খবর, ভারতীয় দলকে ট্রফি জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান মোদি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক সেরে ভারতীয় দল সোজা চলে গেছে দিল্লি বিমানবন্দরে।
সেখান থেকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা মুম্বাই পৌঁছাবেন। মুম্বাইয়ে মেরিন ড্রাইভে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে হুডখোলা বাস। ভিকট্রি প্যারেডে অংশ নেবে ভারতীয় দল। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হবে বিশেষ অনুষ্ঠান।